Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Vote

টহল শুরু এই সপ্তাহেই, শহরে আসছে তিন কোম্পানি বাহিনী

শনিবার রাজ্যে এসেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধাননগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই রুট মার্চ বা টহলদারি শুরু করেছে তারা।

কলকাতায় শুরু না হলেও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় টহল দিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার, ভাঙড়ে। নিজস্ব চিত্র

কলকাতায় শুরু না হলেও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় টহল দিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার, ভাঙড়ে। নিজস্ব চিত্র নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৩৫
Share: Save:

চলতি সপ্তাহেই শহরে টহল দিতে শুরু করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। লালবাজার সূত্রের খবর, খুব দ্রুত শহরে এসে পৌঁছবে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার পর্যন্ত ঠিক আছে, এসএসবি-র তিন কোম্পানি কলকাতায় আসবে বিভিন্ন এলাকায় টহল দেওয়ার জন্য। শহরে আসার পরে তাদের রাখা হবে কাশীপুরের সেকেন্ড ব্যাটালিয়নের অফিসে এবং এ জে সি বসু রোডের পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। সেখান থেকেই তাদের মোতায়েন করা হবে কলকাতা পুলিশের ন’টি ডিভিশনে। এক পুলিশকর্তা জানান, ৭২টি থানা এলাকার কোথায়, কত বাহিনী সকালে ও বিকেলে রুট মার্চ করবে, তা ঠিক করবেন ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনারেরা।

শনিবার রাজ্যে এসেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধাননগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই রুট মার্চ বা টহলদারি শুরু করেছে তারা। বিভিন্ন এলাকায় ওই আধাসেনার টহলদারি শুরু হতেই ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে।

প্রথম দফায় কলকাতায় না-এলেও খুব শীঘ্রই তারা শহরে এসে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের এক কর্তা। চলতি মাসের শেষে ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে। তার আগেই রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে যাবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর।

লালবাজার সূত্রের খবর, এক-একটি কোম্পানিতে আটটি করে সেকশন থাকে। সেই হিসেবে তিন কোম্পানি এসএসবি-র ২৪টি সেকশনকে ৭২টি থানার মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তাদের রাশ থাকবে পুলিশের হাতে। পুলিশই ঠিক করবে, কোথায় কোথায় রুট মার্চ করানো হবে। ভোট ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক হিংসা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অল্পবিস্তর চলছে। গত সপ্তাহেই বেলেঘাটা এবং ফুলবাগান থানা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দুই যুযুধান পক্ষের সংঘর্ষে। যাতে জখম হন এক পুলিশ অফিসারও।

ভোটের সময়ে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিরোধী দলগুলি প্রায়ই প্রশ্ন তোলে। কেন্দ্রীয় বাহিনী শহরে এলে সেই অভিযোগ কিছুটা কমবে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে প্রথম দফায় তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও ভোটের সময়ে একশোর বেশি বাহিনী উপস্থিত থাকবে শহরে।

আগামী বৃহস্পতিবার উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের কলকাতায় আসার কথা। রাজ্যের এবং কলকাতার পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে তাঁর। লালবাজারের আশা, সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে। একই সঙ্গে ওই দিন শহরের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও আলোচনা হবে। পাশাপাশি, জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা এবং অস্ত্র উদ্ধারের কাজ কতটা হয়েছে, তার হিসেব নেবেন উপ নির্বাচন কমিশনার।

গত মাসে কমিশনের ফুল বেঞ্চ এ রাজ্যে এসেছিল। সে সময়ে কিন্তু কমিশনের কর্তারা জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা নিয়ে পুলিশের তৎপরতায় খুশি ছিলেন না। তাই এ বার লালবাজার প্রতিটি থানাকেই ওই পরোয়ানা কার্যকর করায় জোর দিতে বলেছে। পুলিশের একাংশের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশ এলাকায় এখনও প্রায় ১৪০০টি জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা বাকি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy