ভোট দিচ্ছেন ইশা। নিজস্ব চিত্র
এক হাভেলির ফটক তিনটি। যদিও বছর পাঁচেক আগেও একটিই ফটক ছিল হাভেলিতে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা। তিনটির মধ্যে মাঝের ফটকে দাঁড়িয়ে এক কর্মী। হাভেলির বাইরে নিস্তব্ধতা ভাঙছে কোকিল। ভোটের দিন এমনই ছবি দেখা গেল, মালদহের রাজনীতিতে সরগরম হাভেলি ‘কোতুয়ালি ভবন’। চেনা ছক ভেঙে পৃথক ভাবে ভোট দিলেন গনি পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের মুখে করোনার প্রভাবের কথা থাকলেও ভোটের দিনে কোতুয়ালি ভবনের নিষ্প্রভ ছবিই এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে জেলার রাজনীতিতে।
ইংরেজবাজার বিধানসভায় আমবাগান ঘেরা গ্রামে কয়েক বিঘা জমির উপরে কোতুয়ালি ভবন। ভোট রাজনীতিতে তাৎপর্য রয়েছে এই ভবনের। এই ভবনকে দিল্লির রাজনীতিতে তুলে ধরেছিলেন এ.বি.এ গনিখান চৌধুরী। ২০০৬ সালে তাঁর মৃত্যুর পরেও রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থেকেছে কোতুয়ালি। ভবনে এখন বেড়েছে ফটক সংখ্যাও। একদিকে, মৌসম নুর। অন্যদিকে, আবু নাসের খান চৌধুরী(লেবু)। এখন দু’জনেই তৃণমূলে। আর মাঝে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ও তাঁর ছেলে ইশা।
লোকসভা হোক কিংবা বিধানসভা, একাধিক প্রার্থী থেকেছে কোতুয়ালি ভবনের। লোকসভা ভোটে ডালু, ইশা, মৌসম তিন জনই প্রার্থী ছিলেন। গত, বিধানসভাতে প্রার্থী ছিলেন ইশা, লেবু এবং গনিখানের অপর এক ভাগ্নি শেহনাজ কাদরী। এবারে কোতুয়ালি ভবন থেকে একমাত্র প্রার্থী ইশা খান। এদিন সকাল আটটা নাগাদ ঘর থেকে জল খেয়ে বের হন ইশা। ভবন থেকে বেরিয়ে গনিখানের মাজারে শ্রদ্ধা জানান। তারপরে কোতুয়ালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ভোট দেন ইশা। তিনি বলেন, “আমি বুথে বেরিয়ে যাব তাই তাড়াতাড়ি ভোট দিয়েছি। বাবা(ডালু) একটু পরে ভোট দেবেন।” সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ভোট দেন ডালু। ১১টা নাগাদ ওই বুথে গিয়ে ভোট দেন লেবুও।
যদিও আগে কোতুয়ালি পরিবারের সব সদস্যই একসঙ্গে ভোট দিতে যেতেন বুথে বলে দাবি স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, ভোটের দিন বুথের বাইরে ভিড় জমে থাকত সংবাদ মাধ্যমের। হাজির থাকতেন কর্মী, সমর্থকেরা। সবাই সকালেই একসঙ্গে বুথে গিয়ে ভোট দিতেন। কালিন্দ্রী নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল। তেমনই একাধিক রঙ লেগেছে কোতুয়ালি ভবনেও। সংক্রমিত হয়ে ভবনে বসেই ফোনে নেতা, কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মৌসম। তিনি বলেন, “শেষ দফার ছটি কেন্দ্রেও দল ভাল ফল করবে।” কংগ্রেসের ফল নিয়ে আশাবাদী ইশাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy