Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Jatu Lahiri

Bengal Polls : তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে আসা বিধায়কদের রাজ্য কমিটিতে জায়গা দিল বিজেপি

তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। এঁদের বিজেপি টিকিট না দিতে পারলেও রাজ্য কমিটিতে জায়গা দিল।

জটু লাহিড়ী, দীপেন্দু বিশ্বাস ও সোনালি গুহ।

জটু লাহিড়ী, দীপেন্দু বিশ্বাস ও সোনালি গুহ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২১ ০০:৩৯
Share: Save:

তৃণমূল ছেড়ে আসা একঝাঁক বিধায়ককে রাজ্য কমিটিতে জায়গা দিল বিজেপি। সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ী, সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালি গুহ, সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দার ও বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসকে রাজ্য কমিটিতে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য করা হল। এঁরা সকলেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। এঁদের বিজেপি টিকিট না দিতে পারলেও রাজ্য কমিটিতে জায়গা দিল। প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় এই বিধায়ক রা টিকিট পাননি। তারপরেই বিদ্রোহী হয়ে এই বিধায়করা গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। দ্রুতই বিজেপি নেতৃত্ব সবুজ সঙ্কেত দিয়ে এই বিধায়কদের দলে নেয়।

দীপেন্দু ছাড়া সোনালি-জটু-শীতল, প্রত্যেকেই একাধিকবার তৃণমূলের প্রতীকে বিধায়ক হয়েছিলেন। জটু ২ বার কংগ্রেসের প্রতীকে ও তিন বার জোড়াফুলের চিহ্নে বিধায়ক হয়েছিলেন। শীতল আবার ১৯৯৬ সালে প্রথমবার কংগ্রেস থেকে বিধায়ক হন। পরে ২০০১, ২০০৬, ২০১১ ও ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন তিনি। আর সোনালি ২০০১ সাল থেকে সাতগাছিয়া কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের বিধায়ক। ২০০১ সালে সোনালির জয়ের আগে এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা জ্যোতি বসু। শুধু তাই নয়, সোনালি ছিলেন মমতার এক সময়ের ছায়াসঙ্গী। টিকিট না দেওয়ায় সোনালি-মমতার ৩০ বছরের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে। আর সেই সুযোগে মমতার কাছের নেত্রীকে দলে টানতে দেরি করেননি বিজেপি নেতারা। এবার তাদের সকলকেই সাংগঠনিক পদ দেওয়া হল। এই নেতারা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি -র পক্ষে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছেন।

বিজেপি-র রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হয়ে দীপেন্দু বলেছেন, "আমি খুব অল্প দিন বিজেপি-তে এসেছি। এখনও একমাস হয়নি। তাতেই আমাকে যে ভাবে দল সম্মানিত করেছে, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। দায়িত্ব সাধ্য মতো পালনের চেষ্টা করব। বিজেপি পরিবারকে ধন্যবাদ।" এই চারজন ছাড়াও, সনাতন কর্মকার ও তারক সরকারকেও রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE