তৃণমূল- বিজেপি সংঘর্ষের পর বুধবারও থমথমে পূর্ব বর্ধমানের পালিতপুর। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের পর বুধবারও থমথমে পূর্ব বর্ধমানের পালিতপুর গ্রাম। মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষে দু’জন তৃণমূল সমর্থক গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১১ জন বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। বুধবার তাদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়েছে। বুধবার সকালেও গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
নতুন করে যাতে আর কোনও অশান্তি না হয়, সে কারণে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকার বাসিন্দা রূপা খাঁ বলেন, ‘‘আমরা খুবই ভীত। শিশুদের নিয়ে ভয়েই কেটেছে সারা রাত। এর একটা বিহিত হোক। গ্রামে শান্তি ফিরুক।’’ অন্য দিকে তৃণমূল সমর্থক শ্যামা খাঁ বলেন, ‘‘আমরা খুব আতঙ্কে ছিলাম। আমার কাকার দোকানে হামলা চালানো হয়। ওখানে কোনও নেশার জিনিস বিক্রি হয় না। রাতে পেট্রল ঢেলে আমার বাড়ির গোয়াল ও রান্নাঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আমরা তৃণমূল করি বলে আমাদের উপর আক্রমণ হয়েছে।’’
এই ঘটনার বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি-র সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, ‘‘এটা কোনও বিজেপি- তৃণমূল সংঘর্ষের ব্যাপার নয়। ওই দোকানে নেশার জিনিস বিক্রি হয়। গ্রামের মানুষ এর প্রতিবাদ করলে বাইরে থেকে আসা তৃণমূল কর্মীরা তাদের উপর চড়াও হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাব। যে ক’জন বিজেপি সমর্থককে অকারণে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের না ছেড়ে দিলে আমরা আন্দোলনে নামব।’’
অন্য দিকে এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীরা হোটেলে হামলা করে। তার পর পালিতপুর গ্রামে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণ করে। বাড়ি ভাঙচুর করে ও একটি গোয়ালঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।’’ নির্বাচনের আগে এই ঘটনাকে নিয়ে এখনও উত্তেজনা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy