বেলিয়াতোড়ের জনসভায় সুজন চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।
মিছিলে ভিড় জমিয়ে নজর টানল বাম-কংগ্রেস। সোমবার বিকেলে বাঁকুড়ার বড়জোড়া কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সুজিত চক্রবর্তীর সমর্থনে বেলিয়াতোড়ে মিছিল ও সভা করেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। ওই কর্মসূচিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সিপিএমের দাবি, মিছিলে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ছিলেন। পুলিশের হিসেবে সংখ্যাটা যদিও হাজার দু’য়েকের মতো। তৃণমূল ও বিজেপির আবার দাবি, মিছিলে তেমন লোক হয়নি।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বড়জোড়া কেন্দ্রে জয় পেয়েছিল সিপিএম। এ বারেও কেন্দ্রটি ধরে রাখতে মরিয়া বাম শিবির। এ দিন বিকেলে বেলিয়াতোড়ের পেট্রল পাম্প থেকে সিপিএম প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল শুরু হয়ে বেলিয়াতোড় ঘুরে ডাকবাংলো মোড়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখেন সুজনবাবু-সহ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতি, জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলমাধব গুপ্ত প্রমুখ।
সিপিএমের বড়জোড়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুজয় চৌধুরী বলেন, “এ দিনের ভিড় প্রমাণ করে দিয়েছে, বড়জোড়ার মানুষ এ বারেও আমাদের পক্ষে রয়েছেন।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক কালীদাস মুখোপাধ্যায়ের যদিও দাবি, “ওঁদের মিছিলে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ভিড়ই ছিল বেশি। বড়জোড়া বিধানসভার বাইরের লোকও ছিলেন। মেরেকেটে পাঁচশো মানুষ ছিলেন।” বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্তির আবার বক্তব্য, “এ বারের বিধানসভা ভোটে লড়াইয়েই নেই বামেরা। ওঁদের মিছিলে তেমন ভিড় হয়নি।”
এ দিন প্রথমে ইন্দাস বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী নয়ন শীল বাগদীর সমর্থনে রোড-শো ও পথসভা করেন সুজনবাবু। ইন্দাসে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়ে বাজার ঘুরে ইন্দাস সুপার মার্কেটে মিছিল শেষ হয়। পরে, সেখানেই হয় পথসভা। সেখানেও কয়েক হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। যদিও বিজেপি ও তৃণমূলের দাবি, কয়েকশো লোকের ভিড় হয়েছিল।
সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুজনবাবু বলেন, “দু’টো ফুলই (ঘাসফুল ও পদ্মফুল) শুকিয়ে গিয়েছে। ভোটের ফল বেরোলেই তা মানুষ বুঝতে পারবেন। তৃণমূল হারবে, বিজেপি হারবে। মানুষ জিতবে।” তাঁর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে ইন্দাসের তৃণমূল প্রার্থী রুনু মেটে বলেন, “উনি জেগে স্বপ্ন দেখছেন। বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।” বিজেপি সভাপতি সুজিতবাবু বলেন, “বামেরা আগে নিজেদের অস্তিত্ব থাকে কি না, সেটা ভাল করে দেখুন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy