Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

Bengal Polls 2021: কচুরিতে কামড় সেলিমের, মান্নান রইলেন কার্যালয়ে

চণ্ডীতলায় যে ভাবে আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সেলিমকে, একই ভাবে চাঁপদানির সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী, আব্দুল মান্নানকেও ভারমুক্ত লেগেছে।

 নবাবপুর বাজারে কচুরি খাচ্ছেন মহম্মদ সেলিম (বাঁ দিকে)। ভোটের লাইনে আব্দুল মান্নান।

নবাবপুর বাজারে কচুরি খাচ্ছেন মহম্মদ সেলিম (বাঁ দিকে)। ভোটের লাইনে আব্দুল মান্নান। ছবি: দীপঙ্কর দে।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় 
চণ্ডীতলা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৫৩
Share: Save:

ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ৭টা। চণ্ডীতলার নবাবপুর বাজারে কচুরি ভাজা চলছিল একটি মিষ্টির দোকানে। ভিতর থেকে এক যুবক তাঁর হাতে তুলে দিলেন শালপাতার মোড়ক। সেটি হাতে নিয়েই তিনি ধপ করে বেঞ্চে বসেই কচুরিতে কামড় বসালেন।

‘ছবি-বুভুক্ষু’ চিত্র-সাংবাদিকরা ক্যামেরার শাটার টিপতেই তিনি আপ্যায়নের ভঙ্গিতে বললেন, ‘‘আরে বাবা, ছবি তো সারাটা দিন পড়ে আছে। আগে সকাল সকাল একটু খেয়ে নাও তোমরা।’’

চণ্ডীতলার সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের শনিবার, ভোটের দিনটা শুরু হয়েছিল এ ভাবেই। তার পর থেকেই সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরা সেলিম চষে বেড়ালেন গোটা বিধানসভা এলাকা। শরীরী ভাষায় আত্মবিশ্বাস। নবাবপুর প্রাথমিক স্কুলের ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসে বললেন, ‘‘বুথের বাইরে একটু লোকজন দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ কেউ প্রভাবিত করারও চেষ্টা করছেন। তবে সব মিলিয়ে ঠিকই আছে। তেমন সিরিয়াস কিছু নয়। পুলিশকর্মীদের মুখেই জানালাম ব্যাপারটা।’’

চণ্ডীতলায় যে ভাবে আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সেলিমকে, একই ভাবে চাঁপদানির সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী, আব্দুল মান্নানকেও ভারমুক্ত লেগেছে। শেওড়াফুলি নোনাডাঙায় দলীয় কার্যালয়ে মোবাইলে একটার পর একটা ফোন আসছিল। সঙ্গী ফোটোগ্রাফার মান্নানকে বলছিলেন একটি বুথে যেতে। অভিজ্ঞ কংগ্রেস নেতা মান্নান বললেন, ‘‘কোথায় যাবে? এখন দুপুরে সব বুথ ফাঁকা। আমি বৈদ্যবাটীতে সিপিএম পার্টি অফিস থেকেই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছিলাম। দুপুরে ফাঁকা সময় বলে একটু এ দিকে এলাম।’’

সেই ১৯৮২ সাল থেকে ভোটে লড়ছেন ভদ্রকালী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত এই অঙ্কের মাস্টারমশাই। আরামবাগের বিধায়ক ছিলেন
তিনি। চার বার চাঁপদানির বিধায়ক হয়েছেন। প্রত্যয়ী মান্নান বলেন, ‘‘তৃণমূলের ওই আইপিএস বিধায়ক ভদ্রলোককে (তারকেশ্বরের বিদায়ী বিধায়ক রচপাল সিংহ) না-পেয়ে তারকেশ্বর থেকে শেওড়াফুলিতেও আমার কাছে মানুষ শংসাপত্রের জন্য আসেন। মানুষ আমার উপরে ভরসা করেন।।’’ পাশ থেকে দলের নবীন সহকর্মী বলে ওঠেন, ‘‘রাতদিন, সাতদিন অঙ্কের মাস্টারমশাই-ই ভরসা।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy