বোলপুরে একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিজস্ব চিত্র
কখনও গুলি চালানো, কখনও অকারণ লাঠিচার্জ, প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া, মারধর থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল জওয়ানদের বিরুদ্ধে। বীরভূমে শেষ দফার ভোটে অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘অতিসক্রিয়’ নয়, সাহায্যকারীর ভূমিকাতেই দেখা গেল। ২৩০ কোম্পানি বাহিনীর উপস্থিতিতে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া জেলার ১১টি আসনে নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে দাবি প্রশাসনের।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, শাসকদলের তরফে কিছু অভিযোগ ছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় সন্তুষ্ট বাম, বিজেপিও। খয়রাশোল থেকে মুরারই— বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারায় ছবি নজরে এসেছে। বুথের ধারে, পাশে জটলা করতে এবং সাইকেল, মোটরবাইক বা গাড়ি দাঁড় করাতে দেননি তাঁরা। জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলছেন, ‘‘দু’একটি জায়গায় প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের মতো অনভিপ্রেত ঘটনা ছাড়া জেলার ভোট শান্তিপূর্ণ ছিল। মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেই চেষ্টা ছিল। সেটা নিরপক্ষ ভাবেই করা গিয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের সমান অবদান রয়েছে।’’
তবে শাসকদলের অনেকে অভিযোগ করেছেন, নিরপক্ষ দায়িত্ব পালন বাহিনী। রামপুরহাটের তৃণমূল প্রার্থী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘রামপুরে শিবির ভেঙে দিয়েছে। খাবার ফেলে দিয়েছে। মারধর করা হয়েছে কর্মীদের।’’ রামপুরহাট পুর এলাকায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করারও অভিযোগ রয়েছে বাহিনীর বিরুদ্ধে। একই সুর সিউড়ি কেন্দ্রের প্রার্থী বিকাশ রায়চৌধুরীর। বলছেন, ‘‘শহরে বুথ দূরে লোকজন দাঁড়িয়ে থাকলেও লাঠিচার্জ করে দুই কর্মীকে জখম করেছে বাহিনী।’’ বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভ্রাংশু চৌধুরী অবশ্য বলছেন, ‘‘আসলে শাসকদল যে কায়দায় ভোট করাতে চেয়েছিল, সেটা না করাতে পারায় ক্ষোভ হয়েছে।’’ হাঁসন কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার সময় মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীর মাথা টাঙ্গি ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে শুনেও তৎপর ছিল না বহিনী, এমন অভিযোগও আছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য গৌতম ঘোষ বলছেন, ‘‘এক, দুটি ক্ষেত্রে হয়তো বাড়াবাড়ি ছিল। তবে যথেষ্ট সন্তোষজনক ভূমিকা ছিল বাহিনীর। সবচেয়ে বড় কথা অনেক দিন পর মানুষ ভোট দিতে পারলেন।’’ তবে কর্তব্যরত অবস্থায় সিআরপিএফের আইজি এসকে মহান্তি তারাপীঠে পুজো দিয়েছেন। সেটা আদৌ করা যায় কিনা, প্রশ্ন উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy