ভোটারদের ছোলা-মুড়ি দেওয়ার তোড়জোড়। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে। ছবি: রবীন্দ্রনাথ মাহাতো
তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম— তিন দল বুথ-ক্যাম্পে ছোলা-মুড়ি নিয়ে পরপর বসে। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের গঙ্গামান্না গ্রামের বুথে ভোট দিয়ে ফেরার পথে সবার থেকে প্যাকেট নিয়ে বৃদ্ধ বললেন, ‘‘একটু যেতে যেতে খাব। বাকিটা বাড়ির ছোটরা খাবে। সবাই খুশি।’’
বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনের দিন কোনও দলের তরফে এ ধরনের খাবার বিলির আয়োজন ভোটারদের প্রভাবিত করার শামিল। কিন্তু শনিবার, প্রথম দফার ভোটে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় এ কাণ্ড চোখে পড়েছে। তবে কোনও অভিযোগ আসেনি বলে দাবি প্রশাসনের। এলাকায় ঘুরে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ জায়গাতে রয়েছে মুড়ি। সঙ্গে ছোলা, গুড়, বোঁদে, চানাচুর, চপ বা আলুর দম। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর কেন্দ্রের গড়শালবনিতে তৃণমূলের বুথ ক্যাম্প থেকে পান, মিষ্টি, গুটখা বিলি হচ্ছিল। কিছু জায়গায় ছিল পাঁউরুটি বা ঠান্ডা পানীয়। ছিল জল।
বান্দোয়ানের গঙ্গামান্নায় তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএমের পাশাপাশি শিবিরগুলির প্রতিটিতে ছিল এক বস্তা মুড়ি আর কেজি ছয়েক ভেজানো ছোলা। স্থানীয় বাজারে দাম পনেরোশো টাকা মতো। প্রায় তিনশো জনকে খাওয়ানো যায়। কেউ ভোট দিতে যাওয়ার সময়, কেউ ফেরার পথে, কেউ এমনিই রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
ওই কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী রাজীবলোচন সরেন বলেন, ‘‘সব দলই খাবার দিচ্ছে। শুধু আমাদের বলে কী লাভ?’’ বিজেপি প্রার্থী পার্শী মুর্মুর দাবি, ‘‘আমরা কর্মীদের খাবার দিতে বারণ করেছি।’’ সিপিএমের প্রার্থী সুশান্ত বেসরার বক্তব্য, ‘‘দলের কর্মীরা খাবার দিয়েছেন বলে জানি না।’’
ঝাড়গ্রামের লালগড় ব্লকের এক মুড়ি ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁর থেকে তৃণমূল সাত কেজি আর বিজেপি ২০ কেজি মুড়ি কিনেছে। ওই ব্লকের বাঘাকুলিতে দেখা গেল, মুড়ির সঙ্গে বোঁদে থাকায় তৃণমূলের থেকে বিজেপির শিবিরে ভিড় বেশি। দুপুর পৌনে ১২টা নাগাদ বিজেপির বুথ ক্যাম্পে থাকা তোতন খিরালি বলেন, ‘‘১০ বস্তা মুড়ি আর আট কেজি বোঁদে শেষ। আরও আনাচ্ছি।’’
রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী তথা পুরুলিয়ার মানবাজারের তৃণমূল প্রার্থী সন্ধ্যারানি টুডুর মন্তব্য, ‘‘এটা সাধারণ ব্যাপার। এত কড়াকড়ির মানে বুঝি না।’’ বাঁকুড়ার ছাতনার ভরতপুরে তৃণমূলের শিবির থেকে খাবারের প্যাকেট নিয়ে বুথ-ফেরত এক ভোটার অবশ্য বলছিলেন, ‘‘ভোটের দিন সবার থেকে সবাই প্যাকেট নেয়। না হলে চিহ্নিত হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy