ছবি: সংগৃহীত।
কোভিডবিধি মেনেই নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। মঙ্গলবার বিধানসভায় সেই বিষয়ে জোর প্রস্তুতি লক্ষ করা গিয়েছে। শপথগ্রহণের নামে অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়েই যাবতীয় কাজকর্ম করতে চায় বিধানসভার সচিবালয়। এই অনুষ্ঠান থেকে যাতে কোনও ভাবেই করোনা সংক্রমণ না ছড়ায়, সে দিকেই নজর তাদের। সোমবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক সম্মেলনে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রোটেম স্পিকার হিসেবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেন। সঙ্গে জানিয়ে দেন, গত ১০ বছরের তৃণমূল জমানায় যে ভাবে বিধানসভার স্পিকার ছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, সে ভাবেই তাঁকে স্পিকারের দায়িত্ব দিয়েছে দল। বিমানও তৃতীয় বারের জন্য বারুইপুর পশ্চিম আসন থেকে বিধায়ক হয়েছেন। তাই দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় আসেন বিমান ও সুব্রত। দু’জনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বুধবার রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয় বারের জন্য শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় প্রোটেম স্পিকার হিসেবে শপথগ্রহণ করাবেন বালিগঞ্জের বিধায়ককে। এ বারের বিধানসভায় তিনিই সবচেয়ে প্রবীণ বিধায়ক। ১০ বার জয়ী হয়ে বিধানসভার সদস্য হয়েছেন। তাই তাঁকেই প্রোটেম স্পিকার করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষে।
প্রোটেম স্পিকার হিসেবে রাজ্যের ২৯১ জন বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাবেন। আগামী ৬-৭ মে রাজ্য বিধানসভায় শপথ নেবেন বিধায়করা। তবে বেশ কিছু বিধায়ক কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। তাই তাঁরা ওই ২ দিনে শপথ নাও নিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিধায়কদের শপথগ্রহণে বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তাই ৬-৭ তারিখে তাই ৪ থেকে ৫ ধাপে ৩০-৪০ জন বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাবেন প্রোটেম স্পিকার। বিধানসভার এক আধিকারিকের কথায়, করোনা সংক্রমণের কারণে সাবধানতা অবলম্বন করেই শপথগ্রহণ করানো হবে। তবে এখনই সরকারপক্ষ কোনও অধিবেশন ডাকতে চায় না। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ একটু স্তিমিত হলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy