প্রতীকী চিত্র।
আগামী ২ মে বিধানসভা ভোটের গণনাপর্ব। ফলাফল ঘোষণার পরেই নব নির্বাচিত বিধায়কদের শপথ নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। তাই ধীর গতিতে হলেও, প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বিধানসভার অন্দরে।
ভোটে জয়ের পর বিধানসভায় পা রেখেই একটি ফর্ম পূরণ করতে হয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। আপাতত সেই ফর্ম ছাপানোর কাজ প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। ২ মে ফলাফল ঘোষণার পর পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকেই নজর বিধানসভার আধিকারিক থেকে কর্মীদের। কারণ, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গও সেই ধাক্কায় জর্জরিত। তাই এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন তাঁরা। বিধানসভার কর্মীদের একাংশের কথায়, কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতিতে একসঙ্গে ২৯৪ জন বিধায়কের শপথগ্রহণ সম্ভব নয়। তাই বিকল্প পথেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। পরিষদীয় রাজনীতির রেওয়াজ অনুযায়ী, বিধানসভার সবচেয়ে অভিজ্ঞ নির্বাচিত সদস্য প্রোটেম স্পিকার হিসেবে বিধায়কদের শপথগ্রহণ করান। কিন্তু তার আগে বিদায়ী স্পিকারেরও বেশ কিছু ভূমিকা থেকে যায়। ১৬তম বিধানসভার স্পিকার আইনজীবী তথা বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা প্রার্থী বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁর নির্দেশেরও গুরুত্ব রয়েছে বিধানসভার আধিকারিকদের কাছে।
বিধানসভার এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, এ ক্ষেত্রে যে রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করবে তাদের সিদ্ধান্তের গুরুত্বই সবচেয়ে বেশি। তারা কাকে প্রোটেম স্পিকার বাছবে বা কাকে পরবর্তী স্পিকার করবে, সেই ইঙ্গিত প্রশাসনকে দেওয়া হয়। তাই ফলাফলের পর স্বাভাবিক ভাবেই সে দিকেও আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে। সে দিক থেকে সবুজ সংকেত পেলেই বিধানসভার আধিকারিকরা যাবতীয় কাজকর্মে গতি আনেন। তাই এ ক্ষেত্রে প্রস্তুতি শুরু করলেও, ফলাফল ঘোষণার পরেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy