প্রতীকী ছবি।
ভারত-নেপাল কাঁকরভিটা সীমান্তে করোনা প্রতিরোধে এ-পারে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও নজরদারি নেই বলে অভিযোগ। দিন পনেরো আগে পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতরের হেল্থ চেকপোস্ট ছিল ওই সীমান্তে। ও-পারে যাওয়ার ক্ষেত্রে বা নেপাল থেকে যাঁরা ভারতে আসছেন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছিল। আচমকা সেই হেল্থ চেকপোস্ট তুলে দেওয়ায় বিপদের আশঙ্কা করছেন এসএসবি কর্মী-আধিকারিক থেকে শুল্ক দফতরের লোকজন, স্থানীয় বাসিন্দারাও।
গত তিন সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে নেপালের অংশেও তৎপরতা শুরু হয়েছে। নেপালে যাওয়ার ক্ষেত্রে এ-পারের বাসিন্দাদের আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হতে হবে বলে দিনকয়েক আগে নিয়ম চালু হয়েছে। অথচ লোক যাতায়াতের ক্ষেত্রে এ-পারে ভারতের অংশে পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে কেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির তুলে দেওয়া হল তা বুঝতে পারছেন না অনেকেই।
দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই সীমান্ত এলাকায় বাইরের লোকজনের আনাগোনা রয়েছে। তাই সে সব দিক খতিয়ে দেখে ‘হেল্থ চেকপোস্ট’ চালু রাখার বিষয়টি দেখছি।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভোটের সময় যাতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ায় তা ভেবেই হেল্থ চেকপোস্ট তুলে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে।
গত বছর করোনার সংক্রমণের শুরুতে এই সীমান্তে সবার আগে কড়াকড়ি শুরু করা হয়েছিল। হেল্থ চেকপোস্ট বসিয়ে থার্মাল গান দিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছিল। নেপালের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামে গিয়ে সচেতনতা প্রচার করছিলেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। অনেকেই প্রতিদিন সীমান্ত পেরিয়ে নেপালে বিভিন্ন কাজে যান। নেপালের বাসিন্দাদেরও অনেকেই কাজের সন্ধানে এ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আসেন। ভারত হয়ে অন্য দেশেও যাতায়াত করে একটি অংশ। দেশের বিভিন্ন অংশের মতো এ রাজ্যেও নতুন স্ট্রেনের জেরে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে বলেই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। কাঁকরভিটা সীমান্তে প্রতিদিনই ভিড় হচ্ছে দুই পারের মানুষের। এসএসবি শিবিরে তাঁরা নথিপরীক্ষা করাচ্ছেন। ভিড়ে ‘ডিউটি’ দিতে হওয়ায় করোনা পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন জওয়ানেরা। তাঁরাও অনেকে হেল্থ পোস্ট চালু রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy