বনগাঁর সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ার জন্য আগেই বিজেপি নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার গোটা দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী যে টাকায় বিলাসবহুল বিমান কিনেছেন, তা দিয়ে হাসপাতাল গড়লে দেশে এই সঙ্কট দেখা দিত না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মন্দির-মসজিদের রাজনীতি ছাড়া উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করেনি বলেও বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
রবিবার বনগাঁ উত্তরে জনসভা করেন অভিষেক। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ-গুজরাতে রোজ মৃত্যুমিছিল হচ্ছে। শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করার জায়গা নেই। অ্যাম্বুল্যান্সের পর অ্যাম্বুল্যান্স দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কারণ উন্নয়ন হয়নি। পাঁচ বছর-দশ বছর ক্ষমতায় থেকে শুধু মন্দির-মসজিদের রাজনীতি করেছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্লকে ব্লকে, বিধানসভায় মাল্টি সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল গড়ে দিয়েছেন। তাই গুজরাতে শয্যার সংখ্যা ২০ হাজার আর বাংলায় ১ লক্ষের উপর।’’
এর পরেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি মোদীকে নিশানা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘আমার আপনার করের টাকায় নিজের জন্য বিমান কিনেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেটি কিনতে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ওই টাকায় ক’টা হাসপাতাল হতে পারত জানেন? ১০০টা। প্রত্যেকটিতে ১০০টা করে শয্যা হলে ১০ হাজার শয্যা বাড়ত। দিল্লিতে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে নতুন সংসদভবন বানাচ্ছেন। তাতে ২০০টা হাসপাতাল হতো। কমপক্ষে ২০ হাজার শয্যা বাড়ত। তা না করে নিজের প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমার আপনার টাকায় ফুর্তি করে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দিল্লিতে দলের কার্যালয় তৈরি করেছেন। তা হলে আপনারাই ঠিক করুন কাকে ভোট দেবেন, সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বিমানে চেপে ঘোরা নেতাকে নাকি টালির ছাদের নীচে, হাওয়াই চটি পরা মহিলাকে, যিনি আপনাদের ১ লক্ষ শয্যা তৈরি করে দিয়েছেন।’’
বিগত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে যে ভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের কাছে বাকি তিন দফার ভোট এক দিনে করতে আর্জি জানিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি কমিশন। বিজেপি নেতারা যাতে প্রচারের জন্য হাতে যথেষ্ট সময় পান, তার জন্যই তৃণমূলের একদিনে নির্বাচন করার প্রস্তাব গৃহীত হয়নি বলেও দাবি করেন অভিষেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy