শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক মমতার।
শীতলকুচির ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন এই ঘটনায় তিনিই আসল ষড়যন্ত্রকারী তার নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে গ্রামবাসীর উপর। গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে তারা।
শনিবার রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটের দিন সন্ধেয় শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি জানান তিনি। মমতা বলেন, ‘‘ওরা বলছে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয়েছে। মিথ্যে কথা। আসলে রাজনৈতিক নির্দেশেই এসব হচ্ছে। অঘোষিত ৩৫৬ চলছে। যদি আক্রমণ হয়েই থাকে। প্ররোচনা দেওয়া হয় তবে প্ররোচনার ছবি কই। এত মিডিয়া ছিল ওখানে। এত ক্যামেরা ছিল। কেউ কোনও ছবি পেল না?’’ উত্তরবঙ্গে পৌঁছেই সাংবাদিক বৈঠকে বললেন মমতা।
৫.৪৫: কাল সকালে আমি মাথাভাঙা হাসপাতালে যাব। ওখানেই সবার দেহ রাখা আছে। আমি ওখানে শ্রদ্ধা জানাাব তারপর ওখান থেকে আলিপুরদুয়ারে যাব। আজই যেতাম। কিন্তু আজ যেহেতু ভোট চলছে। তাই আদর্শবিধি লঙ্ঘনের একটা বিষয় রয়েছে। আমি তা ভাঙতে চাই না।
৫.৪০: মমতা বলেন, ‘‘আমি সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বলব, সমস্ত বিরোধীদের বলব, দেখুন কীভাবে এরা ভোট চালায়। কীভাবে বিজেপি ভোট চালায়। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা।’’
৫.৩৫: মানছি ভোটের সময় পুলিশ নির্বাচন কমিশনের অধীন। কিন্তু তারা কেন কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট করবে। কেন রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট করবে? কেন মুখ্যমন্ত্রী হয়েও কিছু জানতে পারব না আমি? প্রশ্ন করলেন মমতা।
৫.৩০: আমি ঠুঁটো জগন্নাথ নই। যতবার রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আসছেন আমাকে অপমান করছেন, আমাকে দোষারোপ করছেন। তাঁদের নিজের সীমা বোঝা উচিত। প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সতর্ক হওয়া উচিত।
৫.২৫: নির্বাচন কমিশন এব্যাপারে কী বলবে? চুপ করে থাকবে? ওদের একজন স্পেশ্যাল অবজার্ভার আছ। বিবেক দুবে। আপনারা আমায় বলুন। আমার এখানে একটি ছেলে কাজ করত অশোক চক্রবর্তী বলে। আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ও। তাকে পর্যন্ত পরশু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন? না সে নাকি দু’মাস না তিন মাস হল অবসর নিয়েছে। তা তোমাদের বিবেক দুূবে সে রিটায়ার করেছে কতদিন আগে। ২০১৯ এ লোকসভা নির্বাচনে যখন দুবে ছিল, তখনও ও অবসরপ্রাপ্ত অফিসার ছিল। এখনও সে অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। তাহলে সে কেন কমিশনের হয়ে কাজ করবে? উনি কে? কেন আর কেউ নেই বিজেপির ভোট করানোর জন্য। যাঁরা অবসর নেননি এমন কোনও অফিসার পায়নি কমিশন?
৫.২০: শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছিল। কিচ্ছু হয়নি। সেখানে ভোটারদের উপর গুলি চালিয়ে দিলে? ভোটারদের উপর গুলি চালানো গণতন্ত্রকে হত্যা নয়? প্রশ্ন মমতার।
৫.১৮: অন্যায় করে এখন ক্লিনচিট দিচ্ছে? গুলি করে বলছে বেশ করেছি, আমি আত্মহত্যার জন্য করেছি! কে কাকে ক্লিনচিট দেয়। মাস্তান নিজেকেই ক্লিনচিট দেবে?: মমতা
৫.১৫: কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই। তবে তারা এসব বাড়াবাড়ি করছে রাজনৈতিক নির্দেশে। দিল্লির নির্দেশে। যখন বিজেপি কোনও নির্বাচনে জিততে পারে না, তখনই তারা এই সব করে। তখন তাদের নীতি খুন করো, গুলি মারো এবং এলাকা দখল কর। প্রত্য়েক জায়গায় ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ত্রাস সৃষ্টি করছে ওরা। মেয়েদেরও ছেড়ে কথা বলা হচ্ছে না। আমি আজ নয়, নন্দীগ্রামে ভোটের আগে থেকে এ-কথা বলে আসছি। সব ওদের প্ল্যানিং।
৫.১০: মমতা বললেন, ‘‘এত সাংবাদিক ছিলেন, এত চ্যানেল, এত প্যানেল, এত ক্যামেরা, তারা কেউ কোনও ছবি পেল না? এটা কখনও হতে পারে? যদি গ্রামবাসীরা ওদের আক্রমণই করত তার কোনও ছবি পাওয়া গেল না কেন? একটা মিথ্যে বানানো ঘটনা। এতগুলো মানুষকে মারার পর এখন আত্মরক্ষার দোহাই দিচ্ছেন! ভাবেন কি প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? আমাদের এত দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই। আর উত্তরবঙ্গ শান্ত জায়গা। সেখানে বার বার এভাবে আঘাত করার কোনও কারণ থাকতে পারে না।’’
৫.০৯: আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো মানে কি? আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোকে কি কেউ পছন্দ করে? সমর্থন করে? যদি আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালিয়ে থাকে তবে আমার প্রশ্ন কীসের থেকে আত্মরক্ষা? কেউ কি জখম হয়েছে? কারও কোথাও আঘাত লেগেছে। আমি তো শুনেছি ওখানে কয়েকটা ছেলে ছিল। তারা ছবি তুলেছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের ছবিগুলিও ডিলিট করিয়েছে: মমতা
৫.০৬ : আমি এই ঘটনার পুরো তদন্ত করব। সম্পূর্ণ তদন্ত করব। জানি পুলিশ এখন আমার অধীনে নেই। কমিশন হয়তো বলবে আদর্শবিধি লঙ্ঘন করছি। কিন্তু মানুষের জীবন নিয়ে যেখানে খেলা হচ্ছে আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আমি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এখনও আমার নির্বাচিত সরকার আছে আগামী দিনেও থাকবে। আমি সিআইডি তদন্ত করে দেখব কারা কীভাবে এটা করল। আমি নিজেদের তরফ থেকে এটা করব। কেউ হয়তো তর্কের খাতিরে বলবে, না এটা করতে পারে না। সে যার যা লিমিটেশন সেই অনুযায়ী বলবে। তবে রাজ্যে যখন এতগুলো মানুষ মারা যায়, তখন প্রধানমন্ত্রী শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে বলছে, আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে?
৫.০৫: ভোটের আগে সব ডিএম, এসপি বদলেছে। কোচবিহারেও এসপি বদল করা হয়েছে। এই বদলের কোনওটিই রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে হয়নি। প্রশাসনকে বলার প্রয়োজনই মনে করেনি। নিজেদের সুবিধা মতো লোক এনেছে। আর তা করেছে ষড়যন্ত্র করেই, দৃঢ় বিশ্বাস আমার: মমতা
৫.০৩: আমাদের হাতে কিছু নেই কিন্তু। সত্যি বলতে কি এখানে ৩৫৬ অঘোষিত। কিন্তু অঘোষিত হলেও কার্যত সেই ধারাই চলছে। ওরা প্রথমেই ডিজিকে বদলে দিল। তারপর এডিজি (আইন শৃঙ্খলা)কেও বদলে দিল। আমার সঙ্গে বা প্রশাসনের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। আমাদের কাছ থেকে কোনও প্যানেল চায়নি। সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছেমতো রদবদল করেছে : মমতা
৫.০১: আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দোষ দিই না। ওরা একজনের নির্দেশে চলে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে চলে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকলেও ওদের হোম মিনিস্ট্রির কথা শুনতে হয়: মমতা
৫.০০: আজকের ঘটনার জন্য পুরোপুরি দায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উনি একজন কনস্পিরেটর। উনি রোজই চক্রান্ত করছেন : মমতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy