ভার্চুয়াল সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার মুর্শিদাবাদে ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবং নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশ অনুসারে বিভিন্ন জেলার অনলাইনেই নির্বাচনী সভা করছেন মমতা। এর আগে আসানসোল, মালদহে সভা করেছেন। আসানসোলের সভা থেকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এবং ভোটের হিংসা নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন মমতা।
আগামী ২৯ এপ্রিল বহরমপুর-সহ মুর্শিদাবাদের ১১টি আসনে ভোট। তার আগে সোমবার, ২৬ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের আরও ১১টি আসনে ভোট। রবিবারের বহরমপুরের রবীন্দ্র সদনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান এবং জেলার অন্যান্য প্রার্থীদের নিয়ে সভা করেন মমতা।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বললেন, ‘‘চারদিকে অক্সিজেন নেই। এদিকে মোদী মন কা বাত করে চলেছেন। ওনার মনের কথা কে শুনতে চায়? কোভিড নিয়ে কথা বলুন।’’ মমতার আক্রমণ, ‘‘শুধু বাংলা দখল করার লক্ষ্যে মোদী বাংলার ক্ষতি করলেন।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বাংলাকে এত কম ওষুধ, এত কম টীকার ডোজ কেন? বাংলাকে ভালোবাসি বলে প্রচার করছেন। ভালবেসে বেশি ওষুধ দিতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী?’’
১.৩৮ : বাংলার ভোটের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। বাংলার ভোটে যা রায় হবে দেশ সেদিকেই ঝুঁকবে। তাই এই ভোট খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দিল্লির সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা আর কোনও রাজ্যের নেই। একমাত্র বাংলাই সেটা করতে পারে। বাংলা গোটা ভারতবর্ষকে বাঁচাবে এটা একদম ভুলে যাবেন না।
১.৩৬ মোদী ওয়ান লিডার ওয়ান নেশনের কথা বলেন। তাই যদি হবে তবে একই টীকা কেন্দ্র ১০০ টাকায় কিনবে আর বাংলা ৪০০ টাকায় কিনবে কেন? কেন বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সেই টীকাই ৬০০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে? বাংলাকে মোদী যদি এতই ভালবাসেন, তবে বাংলার সুবিধার জন্য তিনি কিছু করছেন না কেন? প্রশ্ন মমতার
১.৩৫ : তৃণমূলের গদ্দাররা বিজেপিকে জানাচ্ছে কাকে ধরলে তৃণমূলের অসুবিধা হবে। ওদের কথা শুনে ঠিক তাদেরই ধরছে বিজেপি, তাদের কথা শুনে কাজ করছে কমিশন : মমতা
১.৩০ করোনা হয়েছে বলে বিশ্রামে চলে গেলেই বাকি কাজ থেমে যাচ্ছে। সেটা যেন না হয়। দরকার হলে টিম তৈরি করুন। একজনের করোনা হলে, বাকিরা নির্বাচনের কাজ দেখবেন : মমতা
১.২৮ মু্র্শিদাবাদ মালদা বড় ফ্যাক্টর আমার কাছে। আপনাদের এক একটা ভোট আমার সরকার গড়তে সাহায্য করবে। আপনাদের বলব আমার এবার আমও চাই আমসত্ত্বও চাই। আর যেহেতু এবার কোভিড পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাই আমের আচারও চাই: মমতা
১.২৭ আমি জানতে পেরেছি, তৃণমূল নেতা এবং প্রার্থীদের গ্রেফতার করে থানায় বসিয়ে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অ্যারেস্ট নয়। বলা হচ্ছে ইললিগাল ডিটেনশন। এরকম কিছু হলে কেউ যাবেন না থানায়। থানাগুলোকে কোভিডমুক্ত করা হয়েছে কি না কী করে জানবেন। স্পষ্ট বলে দেবেন কোভিড ঠিক হলে তারপর যাব।
১.২৬ কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়িতে এলে বলুন দূর থেকে কথা বলতে। কার কী আছে আপনি জানেন না। বাড়িতে এলে বলবেন এখন আমরা আউটসাইডারদের ঢুকতে দিচ্ছি না। তারপরও কিছু বললে মা-বোনোরা বলবেন ‘তােমাদের কোভিড আছে কি না দেখ, আগে চিকিৎসা করাও’ : মমতা
১.২৫ বহিরাগতরা এত এসেছে যে রাজ্যে করোনা ছড়িয়েছে। আমি যখন প্রথম বলি কথা গুলো কেউ বিশ্বাস করে না : মমতা
১.২৩: ফেব্রুয়ারি থেকে টিকার অনুমতি চাইছি আমরা। রাজ্যের কাছে অনুমতি নেই। অক্সিজেন থেকে শুরু করে সব কিছু রাজ্য কোথা থেকে নেবে সব ঠিক করে দেবে ওরা। কাজ করার ক্ষমতা নেই অথচ সবকিছু কেন্দ্রীভূত করার জোতদারি আর জমিদারি কেন্দ্রের : মমতা
১.২১ : নির্বাচনী প্রচারের থেকে করোনা পরিস্থিতির উপর এখন আমি জোর দিচ্ছি। প্রায় ১০০ হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে : মমতা
১.১৮: আগের বারও করোনা ঝড় সামলে দিয়েছিলাম। এবার ইলেকশন করে বাড়িয়ে দিয়েছে। েদড়- দু’লক্ষ লোক যদি বাইরে থেকে এখানে আসে। করোনা ছড়ায় তা হলে কী করা যাবে : মমতা
১.১৭: এই করোনা পরিস্থিতিতে মোদী তো ভাষণ দিয়ে পালিয়ে গেল। এতদূর কোভিড বাড়ত না যদি টিকা টা গত ছ’মাসে দিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু মোদী ৮০টা দেশকে বিনা পয়সায় পাঠিয়ে দিলেন। এদিকে দেশ জ্বলছে। দিল্লিতে গণচিতা জ্বলছে। উত্তরপ্রদেশে পাঁচিল তুলে দিয়েছে প্রশাসন। যাতে চিতার আগুন সাধারণ মানুষ দেখতে না পান। আর এরই মধ্যে নতুন আইন করা হয়েছে উত্তর প্রদেশে। কোর্টে যাওয়া যাবে না। যাকে খুশি গ্রেফতার করা যাবে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির এরকমই অবস্থা। আপনারা বাংলায় শান্তিতে আছেন তৃণমূল আছে বলে : মমতা
১.১৬ প্রার্থীদের মমতা বললেন, বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে টাকার হোস পাইপ চালিয়েছে বিজেপি। কমিশন চোখে দেখতে পায় না এসব। তোমরাই ধর। নজর কর।
১.১৫ কমিশনের কাছে ক্যালেন্ডার আছে কি না ভেবে অবাক হই আমি। সামশেরগঞ্জের প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওঁর ভোটটা ইদের দিন করার কথা বলেছিল কমিশন। আমরা বলে দিন পিছিয়েছি।
১.১৪ : কমিশন আমার মিটিং নিষিদ্ধ করলেও আমি মুর্শিদাবাদেই পড়ে আছি। কলকাতা থেকেও ভার্চুয়াল মিটিং করতে পারতাম করিনি। বোলপুরে গিয়ে ভার্চুয়াল মিটিং করেছি। এখানেও নিজে এসেই বৈঠক করছি। তবে যে যে এলাকায় পৌঁছতে পারিনি, সেসব জায়গায় আমি ভোটের পর যাবই। আপনারা শুধু তৃণমূল প্রার্থীদের জেতান : মমতা
১.১০ : সমস্ত এসপি কে বদলেছে। দু’টি লোক এখানে বসে পক্ষপাতদুষ্টতা করে চলেছে। কতটা পক্ষপাতমূলক ভোট করিয়েছে। আগামী দিনে আমরা ক্ষমতা এলে এদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব। আমরা মামলা করব নির্বাচন কমিশন যেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আয়না হয়ে না থাকে। দু’জন আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের দু’জন বিখ্যাত আইনজীবী দু’জনেই। তাঁরা বলেছেন, আমাকে সবরকম সাহায্য করবেন। আমরা তো সরকারে আসছিই। কিন্তু তারপরও আমি এই ইস্যু ছাড়ব না। দেখি কতদূর যেতে পারি। আনমা: মমতা
১.০৮ : কালকে আমার কাছে খবর এসেছে পশ্চিম বর্ধমানে পোলিং এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ বলে এসেছে কেউ বের হবে না। ব্লক প্রেসিডেন্টদেরও বলেছে থানায় গিয়ে বসে থাকতে হবে। ভোট হলে তারপর বের হবেন। কেন? প্রত্যেকে বেরোবেন। ভোট করাবেন। মনে রাখবেন তৃণমূল কংগ্রেসই সরকারে থাকবে। তাই আপনাদের বিরুদ্ধে কেস করলে আমরা দেখে নেব : মমতা
১.০৭ : কমিশনের পুলিশের অবজার্ভার বিবেক দুবে একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। তিনি কর্মরত অফিসারদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। এটা ইললিগাল। কিন্তু কমিশন সে কথা শুনছে না। কারণ ওরা হয়ে গিয়েছে বিজেপির আয়না : মমতা
১.০৬ পুলিশকে হুঁশিয়ারি মমতার। বললেন, ‘‘আমাদের পুলিশের মাথার ঠিক নেই। রাজ্যের পুলিশ কমিশন এলেই ঘুঘুর বাসায় ঢুকে পড়ে। ওরা ভাবে কমিশন যা বলছে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। বাকি পাঁচ বছর যে কমিশনকে ছাড়াই থাকতে হবে সেটা ভুলে যায় ওরা।’’
১.০৫ : প্ল্যান করে আট দফা ভোট করেছে। এক এক দফায় একরকম রিগিংয়ের পরিকল্পনা করেছে। অমিত শাহ দেশের যত কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, তাদের তুলে নিয়েছে। আর যত ক্রিমিনাল ছিল তাদের সঙ্গে দিয়ে দিয়েছে। বিজেপি-র নেতা কর্মীদের সঙ্গে দিয়ে দিয়েছে। : মমতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy