প্রতীকী ছবি।
ভোটটা তাঁদের কাছে উৎসবের মতো। ওই দিন সকাল সকাল পরিবার-পরিচিত মিলে বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ায় তাঁদের আগ্রহ বেশি। বাড়ি থেকে ভোট দিতে আগ্রহী বয়স্ক ও বিশেষ ভাবে সক্ষমদের খুঁজে বার করতে হাওড়ায় যে সমীক্ষা হয়েছিল, তার ফল দেখে এমনই মন্তব্য জেলার নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্তার। কারণ, ভোটার তালিকায় এঁদের সংখ্যা ৮৭ হাজার থাকলেও আগ্রহী মাত্র চার হাজার! অর্থাৎ, যা মাত্র সাড়ে চার শতাংশের মতো।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সি ও বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটাদাতারা বাড়িতে বসেই ভোট দিতে পারবেন। এর জন্য সারা জেলায় এই তালিকায় থাকা ৮৭ হাজার ভোটারের নামও নথিভুক্ত করে জেলা প্রশাসন। বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে ৭০৪টি দল। কারা বাড়ি থেকে ভোট দিতে ইচ্ছুক, তা জানতে জেলা প্রশাসন চলতি মাসের প্রথম দিন থেকেই বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরু করে।
বৃহস্পতিবার হাওড়া জেলার নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পদস্থ কর্তা জানান, সেই সমীক্ষা শেষ হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, এই তালিকভুক্ত ৮৭ হাজার ভোটদাতার মধ্যে মাত্র চার হাজার বাড়ি থেকেই ভোট দিতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘‘ওই সব ভোটদাতার সঙ্গে কথা বলে বোঝা গিয়েছে, যাঁরা বাড়ি থেকে ভোট দিতে চান না, তাঁদের কাছে ভোট একটা উৎসবের মতো। তা ছাড়া বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটারের মধ্যে বুথ হয়। তাই সকলের সঙ্গে বুথের লাইনে দাঁড়াতে তাঁদের ভালই লাগে।’’ এই তালিকাভুক্ত ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়ার সংখ্যা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন জেলার নির্বাচনী আধিকারিকেরা।
করোনা পরিস্থিতিতে এ বার একাধিক নতুন নিয়ম তৈরি করে ভোটপর্ব পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নতুন নিয়মগুলির একটি, বাড়ি থেকে ভোট সংগ্রহের নির্দেশ। যা কার্যকর করতে জোর তৎপরতা নিয়ে কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। ভোটার তালিকা থেকে হিসেব করে প্রশাসন জানিয়েছিল, এই তালিকাভুক্ত ভোটাদাতার প্রায় ৭০ হাজার ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সি। আর বাকি ১৭ হাজার ভোটদাতা বিশেষ ভাবে সক্ষম।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, তৃতীয় দফার নির্বাচনের আগে ১ এবং ২ এপ্রিল এই ভোটগ্রহণ হবে। বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়ার সময়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে এক জন করে মাইক্রো অবজার্ভার, সেক্টর অফিসার ও পুলিশ অফিসার-সহ সব রাজনৈতিক দলের এক জন করে প্রতিনিধি থাকবেন। সেই সময়ে নির্বাচনী আধিকারিকদের করোনা-বিধি মেনে পিপিই, ফেস শিল্ড এবং মাস্ক পরতে হবে ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy