মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে বাংলায় এলেন জয়া বচ্চন। আজ, রবিবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছেন তিনি। সোমবার থেকে ‘বাংলার মেয়ে’-র হয়ে নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে নামবেন ‘ধন্যি মেয়ে’।
রবিবার জয়াকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান তৃণমূল সাংসদ ও সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন, রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। গোলাপি ওড়না আর হালকা রঙের চুরিদারে জয়াকে তৃণমূলের প্রমীলা বাহিনী একরকম ‘এসকর্ট’ করেই নিয়ে এল বিমানবন্দরের বাইরে। দেখা গেল জয়ার মাথা ভর্তি কুঁচনো গাঁদাফুল। তবে ঝেড়ে ফেললেন না। ওড়নাটা ঠিক করে স্বচ্ছন্দে ভিড় এড়িয়ে চলে এলেন বাইরে। যেন রোজই তাঁর কলকাতায় যাওয়া আসা।
রাজ্যসভার সাংসদ সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ জয়া। রাজনীতি দীর্ঘদিনের বিচরণক্ষেত্র তাঁর। মমতার সঙ্গে সুসম্পর্কও বহুদিনের। কর্মসূত্রে অমিতাভ-ঘরণী মুম্বইয়ে থাকলেও, মমতার ডাক পেয়ে বারবার এসেছেন বাংলায়। রবিবার আনন্দবাজার ডিজিটালকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, ‘‘মমতাদির পাশে দাঁড়াতে আসছেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। কেন তিনি বাংলায় আসছেন, কেন বাংলার মেয়ে মমতাদির পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তা নিজেই সাংবাদিক বৈঠক করে জানাবেন উনি।’’
এসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই সোমবার বিকেল ৩টে নাগাদ তৃণমূল ভবনে পৌঁছে যাবেন জয়া। সেখানে তৃণমূলের সংসদীয় দল সংবর্ধনা জানাবে তাঁকে। তার পর তৃণমূল ভবনেই সাংবাদিক বৈঠক করবেন জয়া। জানাবেন, কেন বাংলায় এসেছেন, কেন তিনি বাংলার মেয়ের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন।
বিধানসভা ভোটে মমতাকে ‘বাংলার মেয়ে’ বলে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। দলের স্লোগান ‘বাংলা তাঁর মেয়েকেই চায়’। প্রচার সভায় মমতাও বার বার বলছেন, ‘আমি ভাঙি তবু মচকাই না’। তিনি যে বাংলার দস্যি মেয়ে, তা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিতে দ্বিধা করেননি মমতা। মমতার মতো না হলেও জয়া দীর্ঘদিন রাজনীতিতে। আপাত শান্তশিষ্ট এই মিষ্টি স্বভাবের বাঙালি কন্যা যে চাইলে মুখরা হতে পারেন জাতীয় রাজনীতি তার প্রমাণ পেয়েছে বেশ ক’য়েকবার। বিশেষ করে নারী অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে বারবার সরব হয়েছেন জয়া। পেশায় অভিনেত্রী। দস্যি মেয়ের চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন ‘ধন্যি মেয়ে’ ছবিতে।
আগামী তিন-চারদিন আপাতত কলকাতাতেই থাকবেন জয়া। কথা আছে, মমতার হয়ে প্রতিদিন দু’টি করে বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করবেন তিনি। তবে তার আগে সোমবার টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে অরূপ বিশ্বাসের হয়ে প্রচার করবেন।
টালিগঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। জয়ার মতোই বাবুলও বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য। সেখান থেকে টলিউডে এসে এক বঙ্গজ বলি তারকা আর এক বলিউড খ্যাত বঙ্গসন্তানের বিরুদ্ধে কী ভাবে প্রচার করেন সেটাও দেখার মত বিষয় হবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
৮ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতাই ঠিকানা জয়া। ৫, ৬, ৭ এপ্রিল— এই তিনদিনই রাজ্যজুড়ে ‘বাংলার মেয়ের’ হয়ে তিনি নিরন্তর প্রচারের কাজ করবেন । হাজার হোক জয়াও তো বাংলারই মেয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy