ফাইল চিত্র।
বাংলার ভোটে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। মুখরক্ষা হয়নি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদেরও। ভোটের ফল প্রকাশের পরে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিংসার অভিযোগকে এ বার হাতিয়ার করে জাতীয় স্তরে নিয়ে যেতে চাইছে তারা। ফল প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দু’দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডা। দলের আক্রান্ত নেতা-কর্মীদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর। বাংলায় তৃণমূলের জয়ের পরে যে ‘হিংসা’ চলছে, তার প্রতিবাদে কাল, বুধবার দেশ জুড়ে ধর্নারও ডাক দিয়েছে বিজেপি।
নড্ডা রাজ্যে আসছেন আজ, মঙ্গলবার। বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে, বাংলায় ভোটে হেরে গিয়ে তাঁরা যে ময়দান ছেড়ে দেননি, বরং ফল প্রকাশের পরে সন্ত্রাসের আবহে কর্মী-সমর্থকদের পাশেই আছেন— এই বার্তা দিতে চান দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার যখন শপথ নেবেন, তখন এ রাজ্যেই ‘আক্রান্ত’ বিজেপি পরিবারের পাশে থাকবেন নড্ডা। সে দিনই দেশ জুড়ে কোভিড-বিধি মেনে বিজেপির ধর্না কর্মসূচি হবে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে।
তবে নড্ডার দ্রুত ছুটে আসার নেপথ্যে বিজেপির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিও দায়ী বলে দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত। একে তো ভোটের আগে প্রার্থী নির্বাচন, সাংগঠনিক প্রস্তুতি এবং প্রচারের সিংহভাগ যে ভাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতেই ছিল, তাতে রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ অসন্তুষ্ট। ফল খারাপ হওয়ায় তাঁদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। এখন আবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ভোটের প্রচারে যে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রায় নিত্যযাত্রীর মতো রাজ্যে যাতায়াত করলেন, দলের কর্মী-সমর্থকেরা মারের মুখে পড়ার সময়ে তাঁরা পাশে থাকবেন না কেন? দলের মধ্যে এই ক্ষোভ প্রশমনের বার্তাও নড্ডার সফরে থাকছে বলে বিজেপি সূত্রের মত।
বিজেপির নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে লিখে হিংসার ঘটনা সম্পর্কে শীর্ষ নেতৃত্ব বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করেছেন। তাঁদের আর্জি, ওই নেতাদের কেউ এসে দাঁড়ালে পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। এমনই আর্জির জবাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, পরিস্থিতি যেমন উত্তপ্ত হয়ে আছে, তাতে তাঁরা গেলেই গাড়িতে হামলা হতে পারে। তখন আরও বাড়তি উত্তেজনা হবে। তাই সব দিক বিবেচনায় রেখেই দলের নেতারা যেমন ভাবে সম্ভব, ‘আক্রান্ত’ নেতা-কর্মীদের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, ‘‘তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরে হিংসা থামাতে মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে।’’ সংযুক্ত মোর্চার কর্মী-সমর্থকদের উপরেও হামলা হচ্ছে এবং বর্ধমানের জামালপুরে সিপিএমের এক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও।
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ। শাসক দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের দাবি, ‘‘এই রকম ফলের পরে বিজেপির আইটি সেলের কিছু দিন বিরতি নেওয়া উচিত ছিল! সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি যে সব হিংসার ছবি দিচ্ছে, সেগুলো সবই তাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। বাংলায় ওদের তিনটে গোষ্ঠী, প্রত্যেকটা একে অপরকে ঘৃণা করে।’’ তৃণমূলের আরও অভিযোগ, মোদী-শাহেরাই চার মাস ধরে রাজ্যে ঘৃণা ছড়িয়েছেন। বাংলা চায় শান্তি ও সম্প্রীতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy