Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Isha Khan Choudhury

Bengal Polls: তৃণমূলকে রুখে সুজাপুর দখলে রাখাই চ্যালেঞ্জ কংগ্রেস প্রার্থী ঈশার

প্রচারে ঈশা খান চৌধুরী।

প্রচারে ঈশা খান চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সুজাপুর শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২১ ০৩:৩০
Share: Save:

দলের প্রয়াত নেতা বরকত গনি খান চোধুরীর গড় হলেও সুজাপুর কেন্দ্রটি দখলে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ কংগ্রেসের। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, সুজাপুরে কংগ্রেসের জয় হলেও তা সহজ হবে না। তাদের মতে, এই কেন্দ্রে বামপন্থীদের অধিকাংশ ভোট তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। ফলে সংখ্যালঘুদের সমর্থন তৃণমূলের পক্ষে গেলে খেলা অন্য রকম হতে পারে।

বরকতের ভাই আবু নাসের খান চৌধুরীকে দলে টেনে সুজাপুর দখলের চেষ্টা করেছে তৃণমূল। তবে সে চেষ্টায় সফল হয়নি তারা। নীলবাড়ির লড়াইয়ে বরকতের ভাইপো তথা বিদায়ী বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলের প্রার্থী এলাকার ভুমিপুত্র প্রাক্তন বিচারপতি তথা ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি। অন্য দিকে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে বিজেপিও জিয়াউদ্দিন শেখকে প্রার্থী করেছে।

লড়াই যে কঠিন, তা স্বীকার করছেন ঈশা। তিনি বলেন, “এই কেন্দ্রকে ঘিরে কোতোয়ালি বাড়ি তথা কংগ্রেসের সম্মান জড়িয়ে রয়েছে। ফল খারাপ হলে অস্তিত্ব সঙ্কটের চেয়েও সম্মান নষ্ট হবে।” তাই এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ তিনি।

তৃণমূল যে সুজাপুরের সংখ্যালঘু ভোট পকেটস্থ করতে চাইছে, তা বিলক্ষণ বুঝেছেন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ তথা ঈশার বাবা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী। তাঁর দাবি, “এই জেলায় আমার দাদা প্রয়াত বরকত খান চৌধুরী কখনও ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করেননি। দাদার এই আদর্শেই কোতোয়ালি বাড়ির সদস্যরা রাজনীতির ময়দানে লড়াই করেন। ভোটারদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক যোগাযোগ, আত্মার বন্ধন রয়েছে। তাই কেন্দ্রটিতে কংগ্রেস জিতবে।”

তবে জয়ের দাবি করেছে তৃণমূলও। দলের প্রার্থী আব্দুল গনির দাবি, “বরকত চৌধুরীর নামে এ বার ভোট হবে না। বিজেপি-র মতো শত্রুকে রুখতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক দশক ক্ষমতায় কংগ্রেস। কিন্তু এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হয়নি। সংখ্যালঘুদের উচ্চশিক্ষায় মহিলা কলেজ তৈরির চেষ্টা করেননি আবু হাসেম বা ঈশা খান। এখান থেকে কয়েক লক্ষ শ্রমিক ভিন্ রাজ্যে কাজের খোঁজে যান। কংগ্রেস কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেনি। এলাকার অর্থকরী ফসল তুঁত চাষ বা রেশম শিল্প আজ লুপ্তপ্রায়। কোন উদ্যোগ নেই কংগ্রেসের। তাই এই সুজাপুর কেন্দ্রটি তৃণমূলেরই হবে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE