বার্তা: মঞ্চে তখন নৌশাদ। গোপালনগরে সোমবার। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
ভাঙড়ের ‘মস্তানদের’ জনতাই ভোটের দিন ‘সাইজ করে দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করলেন আইএসএফ প্রার্থী নৌশাদ সিদ্দিকী।
ভোটের কয়েক মাস আগে থেকে ভাঙড়ে আইএসএফ-তৃণূমলের একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ভোট মিটেছে নির্বিঘ্নেই। বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কোন কৌশলে এমন ভোট করা গেল, তা এ দিন গোপালনগরের সভা থেকে ব্যাখ্যা করেন নৌশাদ। বলেন, ‘‘ভোটের দিন জোটবদ্ধ ভাবে ভোট দিতে যাবেন। পথে কেউ বাধা দিলে আইনের মাধ্যমে তার মোকাবিলা করুন। তারপরেও কাজ না হলে, কেউ সংবিধান বহির্ভূত কাজ করলে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত গাছে বেঁধে রাখুন।’’ নৌশাদের কথায়, ‘‘ভাঙড়ে প্রচুর মস্তান ছিল। আমাকে কিছু করতে হয়নি। পাবলিক তাদের সাইজ করে দিয়েছে। বাঘেদের বিড়াল করে দিয়েছে।’’ ভিড়ে ঠাসা মাঠে শ্রোতাদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘আপনাদের এখানে যারা বাঘ আছে, তাদেরও জোটবদ্ধ ভাবে বিড়াল বানিয়ে দিন।’’
২২ এপ্রিল বনগাঁ মহকুমার চারটি কেন্দ্রে ভোট। তার আগে সংযুক্ত মোর্চার কর্মী সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে এমনই প্রতিরোধের বার্তা দিলেন আইএসএফের রাজ্য চেয়ারম্যান তথা ভাঙরের প্রার্থী নৌশাদ সিদ্দিকী। সোমবার বিকেলে গোপালনগরর হরিপদ ইনস্টিটিটিউশনের মাঠে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের সমর্থনে সভায় ছিলেন নৌশাদ। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রর আসার কথা থাকলেও আসতে পারেননি। তবে ছিলেন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী পীযূষকান্তি সাহা, বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী তাপসকুমার বিশ্বাস, বাগদা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী প্রবীর কীর্তনীয়া। নৌশাদকে নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো। মঞ্চে গিয়ে তাঁর সঙ্গে মোবাইল সেলফি তুলতে দেখা গেল অনেককে। প্রায় এক ঘণ্টা বক্তৃতা করেন নৌশাদ। একবার বক্তৃতা শেষ হয়ে গেলেও জনতার অনুরোধে ফের ভাষণ দেন।
সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘‘ভাঙরের ভোটে নৌশাদ শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলে সন্ত্রাস বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এই সাফল্য গোটা রাজ্যের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। সেই উৎসাহ বনগাঁ মহকুমার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে।’’ নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নৌসাদ এ দিন বলেন, ‘‘মতুয়া, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছি। যাতে কাউকে তাড়াতে না পারে। আমরা ক্ষমতায় এসে বিল পাস করে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেব। কেউ আপনাদের তাড়াতে পারবে না।’’
নৌশাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘ওদের সঙ্গে মানুষের সমর্থন নেই। তাই মানুষের দৃষ্টি আকষর্ণ করতে অসাংবিধানিক কথা বলছে।’’ গাছে বেঁধে রাখা নিয়ে নৌশাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘ওঁদের কথা তৃণমূলের ভাষার মিল পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরনের আইনবিরুদ্ধ কথা বলা যায় না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy