সমর্থকদের নিয়ে দেওয়াল লিখন শুরু কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের। ছবি: দীপঙ্কর দে
প্রার্থিপদ নিয়ে হুগলির নানা জায়গায় বিজেপির ‘আদি’ নেতাদের ক্ষোভ বাড়ছে। দলকে বার্তা দিতে ‘বিদ্রোহী’ নেতারা ঘুঁটি সাজাতেও শুরু করলেন। দলের মনোনিত ‘অপছন্দের’ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন তাঁরা।
সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা তথা দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সঞ্জয় পাণ্ডে বলেন, ‘‘অপছন্দের কথা দলকে জানিয়েও ইতিবাচক সাড়া পাইনি। তাই আমরা জেলার প্রতিটি এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যেখানে দলের প্রার্থী অপছন্দ, সেখানে আমরা প্রার্থী দেব। তাঁদের জিতিয়ে দলকে বুঝিয়ে দেব আমাদের যোগ্যতা।’’ হুগলিতে বিধানসভা ১৮টি। তার মধ্যে অন্তত দশটিতে নির্দল প্রার্থী দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে সঞ্জয় জানিয়েছেন। উত্তরপাড়ায় সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রবীর ঘোষাল প্রার্থী হওয়ায় ক্ষুব্ধ সেখানকার নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য ইতিমধ্যেই ওই আসনে নির্দল হিসেবে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন। দেওয়াল লিখনও শুরু করেছেন। কৃষ্ণাদেবী দলের প্রাক্তন জেলা সভানেত্রী।
বিজেপির অন্দরে ‘অপছন্দের প্রার্থী’র তালিকা দীর্ঘ। সিঙ্গুর, উত্তরপাড়া ছাড়াও হরিপাল, তারকেশ্বর, চন্দননগর, চণ্ডীতলা, চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর প্রভৃতি জায়গায় এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। চুঁচুড়ার এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘দলের কী দেউলিয়া অবস্থা! আমরা বহু খেটে সাংসদকে জিতিয়ে আনলাম। মানুষ তো আমাদের উপর ভরসা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সাংসদকেই চুঁচুড়ায় দাঁড় করালেন। চুঁচুড়ায় দলে যোগ্য প্রার্থীর অভাব ছিল?’’
গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূলের মদতে আমাদের একাংশকে ভুল বুঝিয়ে এইসব হচ্ছে। বিজেপিতে প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেলে বদলের রীতি নেই। সবাইকে সংযত হওয়ার এবং তৃণমূলের ফাঁদে পা না দেওয়ার অনুরোধ করছি।’’ তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy