Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Election Commission

Bengal Polls: চতুর্থ দফায় রেকর্ড অভিযোগ, মাথাভাঙায় চূড়ান্ত রিপোর্ট তলব, শীতলকুচিতে ভোটদান স্থগিত

সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব জানান, সারা দিনে ২৩৭১টি অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনে, যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড।

সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশন।

সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২১ ২০:৫১
Share: Save:

চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কোচবিহার। সকালেই শীতলকুচিতে গুলিতে নিহত হন এক তরুণ। তারপরে মাথাভাঙা পুলিশ স্টেশনের অধীনে একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হন। চতুর্থ দফায় রেকর্ড অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলেই জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব জানান, সারা দিনে ২৩৭১টি অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনে, যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। কিন্তু একটি জেলার দুটি জায়গা ছাড়া ভোটদান প্রায় শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেই দাবি করেছেন তিনি।

আফতাব বলেন, সকালে শীতলকুচিতে ভোট দিয়ে ফেরার পথে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর গুলিতে এক তরুণ মারা যান। এই ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনার পর সকাল ১০টা ৪৫ নাগাদ সেই বুথে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে পুনরায় ভোটগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরও জানান, মাথাভাঙায় একটি বুথে মানিক মহম্মদ নামের এক যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু সেখানে উপস্থিত মানুষরা ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই তরুণকে মারধর করেছে। ফলে ৩০০- ৩৫০ মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও বাহিনী আসে। বাহিনী প্রথমে শূন্যে গুলি চালায়। তাতেও মানুষকে সরানো যায়নি। ফলে আত্মরক্ষা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার জন্য গুলি চালায় বাহিনী। সেই ঘটনায় ৪ জন নিহত ও আরও কয়েক জন আহত হয়েছেন।

এই ঘটনা নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। রিপোর্ট আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন আফতাব।

মাথাভাঙায় যে ৪ জন মারা গিয়েছেন তাদের নাম জানিয়েছে কমিশন। তাঁরা হলেন, ছালমু মিঁয়া, জবেদ আলি, আমজাদ হুসেন ও নামিদ মিয়া। এ ছাড়া আরও ৭ জন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন, বিনয় বর্মন, আলমগীর আলম, মৃণাল হক, দেবব্রত দাস, দিলীপ মজুমদার, অভিজিৎ বর্মন ও মিনতি রায় বর্মন।

চতুর্থ দফার পরে রাজ্যে আরও ৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বলেও কমিশন সূত্রে খবর। তার মধ্যে ৩৩ কোম্পানি বিএসএফ, ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ, ১৩ কোম্পানি আইটিবিপি, ৯ কোম্পানি এসএসবি, ৪ কোম্পানি সিআইএসএফ রয়েছে বলে খবর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE