—ফাইল চিত্র
ভোটের কাজে কোনও ভাবেই ডিউটি করতে পারবেন না সিভিক ভলান্টিয়াররা। সূত্রের খবর, শুধু তাই নয়, কোনও এলাকায় ভোটের তিন দিন আগে থেকে ভোট শেষ হওয়ার এক দিন পর পর্যন্ত কোনও ভাবে উর্দি পরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডিউটি করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের পাশাপাশি গ্রিন পুলিশ ও স্টুডেন্ট পুলিশদের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ কার্যকর হবে। ইতিমধ্যেই নবান্ন ও লালবাজারে সেই নির্দেশ পৌঁছেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি।
বস্তুত, গত কয়েকটি ভোটেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের’ অভিযোগ জানিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। সরাসরি ভোটের ডিউটি না-দিলেও স্থানীয় মানুষকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার অভিযোগও উঠেছিল। নির্বাচন কমিশনের এ বারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই মনে করছেন, বিরোধীদের অভিযোগে কার্যত মান্যতা দিয়েছে কমিশন।
সূত্রের খবর, বহু ক্ষেত্রেই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে শাসক দলের রাজনৈতিক সংশ্রবের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের একাংশ স্বীকার করছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশের সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ‘ঘনিষ্ঠতা’ থাকে।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল সব বিরোধী দলই। বহু ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারেরা কার্যত রাজনৈতিক কর্মীর ভূমিকা পালন করেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। সূত্রের দাবি, এ বার নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ যখন রাজ্যে এসেছিল সে সময়েই বিরোধীরা এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ন্ত্রণ করার দাবিও জানান বিরোধী নেতারা। সূত্রের দাবি, কমিশন যে এই দাবি মেনে নেবে তার আভাস বৈঠকে মিলেছিল। তবে কেউ কেউ বলছেন, শহরে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও গ্রামাঞ্চলে কি এই বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব? বহু ক্ষেত্রেই পুলিশকর্মীর অভাবে থানার আধিকারিকদের সিভিক পুলিশের উপরেই নির্ভর করতে হয়। প্রশিক্ষণ না-থাকা সত্ত্বেও বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজে শরিক হন এই বাহিনীর কর্মীরা। ফলে কমিশনের নির্দেশের পরেও ভোটে ‘সিভিক-প্রভাব’ নিয়ে বিতর্ক রয়েই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy