—প্রতীকী ছবি।
আগে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলত। এ বার ভোটের সময় আপাতত আধ ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোট হবে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। কমিশন সূত্রের খবর, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় আলাদা সময়সীমা আর কার্যকর থাকছে না।
কোভিড পরিস্থিতিতে ভোটার এবং ভোটকর্মীদের স্বার্থে আলাদা বন্দোবস্ত রাখতে হচ্ছে কমিশনকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, পারস্পরিক দূরত্ব, মাস্ক পরার বিধি মেনে চলার সঙ্গে সঙ্গে ডান হাতে গ্লাভস পরে ভোট দিতে হবে ভোটারদের। গ্লাভস দেবেন ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত আশাকর্মীরা। ভোটদানের পরে গ্লাভস নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলে ভোটকেন্দ্র ছাড়বেন ভোটার। প্রত্যেক ভোটারের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। তাপমাত্রা ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভোটদানের সময় দেওয়া হবে বিকেল ৫টার পরে। করোনার উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিরাও বিকেল ৫টার পরে ভোট দিতে পারবেন। বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আগের ভোটে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের মতো মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট হত। এ বার ওই সব এলাকাতেও সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। প্রথম দফার ভোটে কেন্দ্র-পিছু তিন কোম্পানি আধাসেনা রাখার কথা ভাবছে কমিশন। আরও বাহিনী পাওয়া গেলে অবশ্য পরিকল্পনা বদলাতে পারে।
অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সঞ্জয় বসু মঙ্গলবার জানান, রেল, মেট্রো, ডাক বিভাগ, দূরদর্শন, বিমান ও জাহাজ পরিবহণের কর্মী, কমিশনের অনুমোদিত সাংবাদিকেরাও এ বার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) কার্যালয় জানিয়েছে, রাজ্যে চালু প্রকল্পগুলি নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী চলছে কি না, তা দেখার জন্য একটি পৃথক কমিটি রয়েছে। ওই সব প্রকল্পের মধ্যে আছে স্বাস্থ্যসাথীও।
২৭ মার্চ প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য এ দিন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের ৩০টি আসনে ভোট হবে। এখনও পর্যন্ত ৪৭ লক্ষ টাকা নগদ, এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বেআইনি মদ, ২৫ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে। কমিশনের কাছে জমা পড়া ৮৫৩টি অভিযোগের মধ্যে ৩১২টি ঠিক। এখনও পর্যন্ত পোস্টার ব্যালটে ভোট দিতে চেয়ে ৮০ বছরের বেশি বয়সের ৩০২০ জন এবং শারীরিক ভাবে অক্ষম ১৫৪১ জন আবেদন করেছেন।
মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্ত ও শিশির বাজোরিয়ার নেতৃত্বে এক দল বিজেপি প্রতিনিধি এ দিন মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের মেয়াদ-উত্তীর্ণ পুরসভাগুলিতে যাঁদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, বকলমে তাঁরা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। এটা কি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ নয়, প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পুরসভাগুলির মাধ্যমে পুরনো তারিখে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে ওই দল। নবান্নে তেজস্বী যাদব এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক নিয়ে সোমবারেই প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি শিবির। একই অভিযোগ নিয়ে সিপিএম নেতা রবীন দেব মঙ্গলবার সিইও-র সঙ্গে দেখা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy