প্রচারে দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভার মতোই বিধানসভা ভোটেও উত্তরবঙ্গে হালে পানি পাবে না তৃণমূল, মত বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারে জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন দিলীপ। জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌজিত সিংহ এবং মালবাজারের বিজেপি প্রার্থী মহেশ বাগের সমর্থনে রোড শো করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। প্রচার সভা থেকেই তৃণমূলকে আক্রমণ করে দিলীপ বলেন, '‘ভোট যত শেষের পথে এগোচ্ছে, ততই হারের ভয় বাড়ছে শাসকদলের। আর ভয় ঢাকতেই যত্র তত্র আক্রমণ করে বেড়াচ্ছে তারা।"
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। উত্তরবঙ্গের সবক'টি লোকসভা কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছিল তারা। এ ছাড়া জলপাইগুড়ির সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ৬টিতেই এগিয়েছিল বিজেপি। উত্তরবঙ্গে সেই জয়ের ধরা এবারও বজায় থাকবে বলে জানান দিলীপ। বলেন, "তৃণমূল যা-ই করুক এবারও উত্তরবঙ্গে খাতা খুলতে পারবে না তারা।"
একদিন আগেই দিলীপের গাড়িতে হামলার অভিযোগ করেছে বিজেপি। আবার মাথাভাঙ্গায় এক তৃণমূল কর্মীকেও বিজেপি-র কর্মীরা আক্রমণ করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ ছিল তৃণমূলের। হামলা প্রসঙ্গে দিলীপের জবাব, "আমরা হামলা করি না। বরং আমাদের উপরেই হামলা হয়েছে। তবে এতে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। বোঝা গেছে এসব করা করে। আমার দশটা গাড়ি ভেঙেছে ওরা।" এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে চেতলার ঘটনার কথাও টেনে এনে দিলীপ বলেন, "সংবাদ মাধ্যমের উপর হামলা আসলে গনতন্ত্রের উপর হামলা। এতদিন ওরা পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমকে ধমকে চমকে রাখত। এখন নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে তাই হামলা করছে শাসক দল।"
শুক্রবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়িতে প্রচার শুরু করেন দিলীপ। জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌজিতের সঙ্গে প্রাতঃভ্রমণে প্রচারের পর যোগ দেন স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় কর্মীদের আয়োজিত 'চায়ে পে চর্চা' অনুষ্ঠানে। পরে মালবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মহেশের সমর্থনে রোড শো করেন দিলীপ। সঙ্গে ছিলেন, সাংসদ রাজু বিস্তা এবং জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়। প্রচারে চা বাগানের কর্মীদের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন মাল বাজারের প্রার্থী মহেশ।
যদিও, মালবাজারের কর্মসূচি মাঝপথেই ছেড়ে পরবর্তী সভার জন্য রওনা হন দিলীপ। মালবাজারে এক কর্মীর বাড়িতে দিলীপের মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা ছিল। দিলীপের জন্য নিরামিষ খাবারের বিপুল আয়োজন করেছিলেন গৃহকর্ত্রী। দিলীপকে দেখবেন বলে উপস্থিত হয়েছিল উৎসাহী জনতাও। কিন্তু সভায় দেরি হয়েছে জানিয়ে দুপুরের খাওয়া দাওয়া না করেই মালবাজার ছেড়ে পরের সভার জন্য বেরিয়ে যান দিলীপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy