শীতলখুচি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী।
শীতলখুচি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনার ঘটনায় শুক্রবার মামলাটি দায়ের করেছেন বহরমপুরের সাংসদ। সঙ্গে নিহতদের ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।
অধীর বলেছেন, ‘‘চারটে জলজ্যান্ত মানুষের মৃত্যু হল। অথচ তা নিয়ে দু’টো রাজনৈতিক দলের তরজা চলছে। তাই সত্যি যাতে সামনে আসে সে জন্যই সিবিআই তদন্তের দাবি।’’ অধীরের দাবি, শীতলখুচি-কাণ্ডের তদন্ত করার এক্তিয়ার নেই রাজ্য পুলিশের সিআইডি। তাঁর যুক্তি, গুলি যেহেতু চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী তাই নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য তদন্ত সিবিআইকেই দেওয়া উচিত।
যদিও শীতলখুচি কাণ্ডের তদন্তভার ইতিমধ্যেই হাতে তুলে নিয়েছে সিআইডি। দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর একটি বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করেছে রাজ্যের এই গোয়েন্দা সংস্থা। মাথাভাঙা থানা থেকে ইতিমধ্যেই শীতরখুচি সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসাররা। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। সিআইডি তদন্তভার নেওয়া নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে অধীর বলেছেন, ‘‘সিআইডি তদন্তের উপর ভরসা নেই। সিবিআই তদন্ত করলে সত্যি সামনে আসবে।’’
১০ এপ্রিল কোচবিহারের মাথাভাঙা থানার অন্তর্গত শীতলখুচিতে ২টি আলাদা বুথে গুলিচালনায় মোট ৫ জন নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েক জন। শীতলখুচির ১২৬ নম্বর বুধে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-এর গুলিচালনায় নিহত হন ৪ জন। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজ্যনীতিতে। সোমবার এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু করা হয়। কোন পরিস্থিতিতে, কী ভাবে শীতলখুচিতে গুলিচালনা হয়েছিল, তা সবিস্তার জানতে চেয়ে আবেদন করেন ফিরদৌস শামিম। সেই সঙ্গে ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিরও দাবি তোলেন তিনি। পাশাপাশি, বাকি দফাগুলির ভোটপ্রক্রিয়া থেকে অভিযুক্তদের সরিয়ে দেওয়া এবং শীতলখুচির ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্যেরও আবেদন করেছেন শামিম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy