হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক আহত। —নিজস্ব চিত্র
ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে অশান্ত ভাঙড়। দেওয়াল লিখনের সময় আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফ কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা আইএসএফ সমর্থকদের বিরুদ্ধেও হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন উভয়পক্ষের ৭ জন। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের গাছতলা এলাকায় রবিবারর বিকেলে গাছতলা এলাকায় ভোটের জন্য দেওয়াল লিখনের কাজ করছিলেন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, দেওয়াল লিখনের সময় ভাঙড়-১ ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি বাদল মোল্লার নেতৃত্বে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের উপর চড়াও হন। লাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা হামলা চালান আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরাও। বেধে যায় সংঘর্ষ।
ঘটনায় গুরুতর জখম ৭ জনের মধ্যে ৫ আইএসএফ কর্মী এবং ২ জন তৃণমূলকর্মী। সবাইকে উদ্ধার করে নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ভাঙড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী চলে আসে ঘটনাস্থলে। পরে দু'পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এলাকায় এখনও উত্তেজনা থাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা মিন্টু শিকারি বলেন, ‘‘দেওয়াল লিখনের সময় তৃণমূলের যুব নেতার নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী আমাদের কমীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করেছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব আমরা। নিজেরা ক্ষমতাচ্যুত হবে বুঝতে পেরেই নিরীহ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে তৃণমূল।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় যুব তৃণমূল সভাপতি বাদল মোল্লা বলেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এলাকার দেওয়াল দখল করে পার্টির প্রচার চালাচ্ছিলেন ওঁরা(আইএসএফ)। সাধারণ মানুষকে লাগাতার বিরক্ত করছিলেন। তাই সাধারণ মানুষই তাঁদের সরিয়ে দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy