প্রতীকী চিত্র
ভোট-পরীক্ষা শেষ। এবার ‘পরীক্ষা হল’ থেকে বেরিয়ে সম্ভাব্য নম্বর পাওয়ার হিসাব কষা শুরু!
পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের ক’টিতে গেরুয়া পতাকা উড়বে, তা জানতে এবং ভোটপ্রাপ্তির হিসাব কষতে বুথ ভিত্তিক রিপোর্ট তলব করেছেন জেলা নেতৃত্ব।
প্রথম দু’দফায় জেলার পটাশপুর, রামনগর, খেজুরি, উত্তর কাঁথি, দক্ষিণ কাঁথি, ভগবানপুর, এগরা, নন্দীগ্রাম, হলদিয়া, মহিষাদল, তমলুক, নন্দকুমার, চণ্ডীপুর, পাঁশকুড়া পূর্ব, পাঁশকুড়া পশ্চিম এবং ময়নায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী লড়েছেন। ভোট শেষের পরেই তৃণমূল, বিজেপি— উভয় দলের জেলা নেতৃত্বই দাবি করেছেন সব আসনেই তাঁদের জয় হবে। সেই দাবির সারবত্তা কতটা, তা বুঝতে জেলার সব বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ ভিত্তিক সম্ভাব্য ফলাফলের বিষয়ে দলের মণ্ডল সভাপতিদের কাছ থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করছেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। দু’তিন দিনের মধ্যে মণ্ডল সভাপতিদে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
বিজেপির জেলা (তমলুক) সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগে আমাদের দলীয়ভাবে বুথ ভিত্তিক সম্ভাব্য ভোট প্রাপ্তির বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। দলের রাজ্য নেতৃত্ব চাইলে তাঁদেরও ওই রিপোর্ট পাঠানো হবে।’’ বিজেপি’র জেলা (কাঁথি) সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রথম দফায় জেলার যে ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ হয়েছে, তাঁর প্রত্যেকটির বুথ ভিত্তিক রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। এতে ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়েও আভাস পাওয়া যাবে।’’
জেলার ১৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে প্রথম দফায় যে সাতটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলি বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে রয়েছে। ওই সাতটি বিধানসভায় এক হাজার ৯১০টি বুথ রয়েছে। দলের মণ্ডল সভাপতি রয়েছেন ৩১ জন। দ্বিতীয় দফার ৯টি কেন্দ্র তমলুক সাংগঠনিক জেলার মধ্যে রয়েছে। ওই বিধানসভায় দু’হাজার ৪৪৪টি বুথ রয়েছে। মণ্ডল সভাপতি রয়েছেন ৪১ জন। বিজেপি’র জেলা নেতৃত্ব বুথ ভিত্তিক রিপোর্ট চেয়েছেন দলের মণ্ডল সভাপতিদের কাছ থেকে। এজন্য বুথ স্তরে ভোটের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত বুথ সভাপতি, বুথ পালক ও শক্তিকেন্দ্র প্রমুখদের কাছ আলাদাভাবে হিসাব চাওয়া হচ্ছে।
বিজেপি’র সূত্রের খবর, বুথ ভিত্তিক সম্ভাব্য ফলাফলের হিসেব দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ‘ফর্ম’ দেওয়া হয়েছে। ওই ফর্মে থাকা ফাঁকা জায়গায় বিজেপি প্রার্থী, অন্য প্রার্থীদের সম্ভাব্য প্রাপ্ত ভোটের উল্লেখ করতে হবে এবং বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে প্রধান বিরোধী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান উল্লেখ করতে হবে। ওই ফর্ম পূরণ করে বুথ স্তরে ভোটের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার মণ্ডল সভাপতিদের কাছে পাঠাতে হবে। মণ্ডল সভাপতিরা জেলা নেতৃত্বদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। জেলা নেতৃত্ব বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ওই রিপোর্ট জমা দেবেন। গত ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পরেই বিজেপি জেলা নেতৃত্বরা দলের মণ্ডল সভাপতিদের কাছ থেকে দ্রুত বুথ ভিত্তিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ পাঠিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy