—প্রতীকী ছবি।
দিনহাটায় এক বিজেপি নেতার মৃত্যু নিয়ে এর আগে বিজেপি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। দাবি তুলেছিল, তাদের নেতাদের খুন করে ঝুলিয়ে দিচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এ দিন অবশ্য নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক তদন্তে, দিনহাটার অমিত সরকার আত্মহত্যা করেছিলেন। এই দিনই উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় একই ধরনের অভিযোগ আনল বিজেপি। চাকুলিয়ার বিদ্যানন্দপুরের বাসিন্দা অখিলকুমার বিশ্বাসের (৬৫) দেহ উদ্ধার হয় ২৮ মার্চ, রবিবার। তিনি অবসরপ্রাপ্ত ডাকঘর কর্মী। বিজেপি দাবি করে, তিনি তাদের কার্যকর্তা। এবং দিনহাটার মতো একই দাবি তোলে। এ দিন কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে এই মর্মে তারা অভিযোগও দায়ের করে আসে। যদিও পরিবারের দাবি, অখিলবাবুর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগ নেই। তবে অখিলবাবুকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি পরিবারের।
মৃতের ছেলে অপূর্ব বিশ্বাস দাবি করেন, ‘‘বাবা কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। আমাদের পরিবারের কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন।’’ কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তাঁর কাছে বাবার মৃত্যুর পিছনে রহস্য রয়েছে। তিনি দাবি করেন, ‘‘বাবার কোনও শত্রু ছিল না।’’ অপূর্ববাবুরা অবশ্য এখনও কারও বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাননি।
কী ঘটেছিল? স্থানীয় সূত্রের দাবি, গত ২৫ তারিখ সন্ধ্যার কিছু পর থেকে অখিলবাবু নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ির অদূরে ভুট্টাখেতে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ মেলে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যালে পাঠিয়েছে।
জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ির দাবি, ‘‘অখিলবাবু আমাদের দলের কর্মী। ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য এই খুন করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পুলিশকে বলা হয়েছে, ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।’’ এ দিনই বিকেলে কলকাতায় কমিশনকে চিঠি দিতে যান বিজেপির কয়েক জন নেতা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি কর্মীদের খুন করে ঝুলিয়ে তাকে আত্মহত্যা বলার ট্র্যাডিশন সমানে চলছে।’ এই চিঠিতে অখিলবাবুকে প্রথমে বিজেপির কার্যকর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরে বলা হয়, তিনি হেমতাবাদের বিজেপি যুব সভাপতি মলয় দাসের মেসোশ্বশুর।
তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে। তৃণমূলের চাকুলিয়ার ব্লক সভাপতি মহম্মদ সেতাবুদ্দিন বলেন, ‘‘বিজেপির কাজই হচ্ছে যে কোনও মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা। যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক। কিন্তু বিজেপি প্রকৃত কারণ না খুঁজে আগেই ফায়দা লোটার রাজনীতি শুরু করে দেয়।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এর সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।’’
ইসলামপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি।’’ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy