মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে নতুন যুদ্ধে নেমেছেন অশোক ডিন্ডা। নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ নিমতৌড়ি জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন অশোক ডিন্ডা। তবে বুধবার দুপুরেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর মা বাধ সাধলেন। তাই মায়ের কথা শুনে বাধ্য ছেলের মত বৃহস্পতিবারকেই বেছে নিলেন ময়না কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।
টেলিফোনে ডিন্ডা বলছিলেন, “ক্রিকেট নিজের বুদ্ধিতে খেলতাম। তবে এই ম্যাচের পিচ একেবারে আলাদা। তাই শুভেন্দুদা ও মায়ের পরামর্শ নিয়ে চলছি। সেই জন্যই তো বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেব।”
ডিন্ডার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নৈছনপুরে। সেটি যে বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, সেই ময়নাতেই নির্বাচন যুদ্ধে লড়তে চলেছেন বাংলার প্রাক্তন জোরে বোলার। এই কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সংগ্রাম দোলুই জিতেছিলেন। তিনি ১ লক্ষ ৯৮০ ভোট পেয়েছিলেন। এ বারও তৃণমূলের প্রার্থী সংগ্রাম দোলুই। তবে এ বার ‘নৈছনপুর এক্সপ্রেস’ বিপক্ষের প্রার্থীর উইকেট উপড়ে ফেলতে মরিয়া।
ইতিমধ্যে দলের একাধিক জনসভায় অংশ নিচ্ছেন। এ বার মনোনয়ন জমা দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার শুরু করে দিতে চান। কিন্তু সবার আগে কার কাছে গিয়ে ভোট চাইবেন? একগাল হেসে ডিন্ডার জবাব, “প্রথম ভোট সংগ্রামদা-র কাছে গিয়েই চাইব। তা ছাড়া এই এলাকায় বেড়ে উঠেছি। সবাই আমাকে এক ডাকে চেনে। তাই জেতার ব্যাপারে আশাবাদী।”
একটা সময় ক্রিকেট শেখার জন্য রোজ নৈছনপুর থেকে কলকাতা আসতেন। কলকাতায় আস্তানা পাওয়ার আগে অনুশীলন শেষ করে গ্রামে ফিরতেন। সম্বল ছিল লোকাল ট্রেন কিংবা বাস। রাজনীতির মঞ্চে তিনি যেন আগের মত ‘নিত্য যাত্রী’ হয়ে গিয়েছেন। বিষয়টা অবশ্য পুরোটা মানলেন না ডিন্ডা। বরং শেষে বললেন, “তখন ক্রিকেট শিখতে কলকাতায় গিয়েছি। এখন আমাদের মানুষদের সেবা করার জন্য আবার গ্রামে ফিরে যাচ্ছি। তখন গাড়ি ছিল না। এখন নিজের গাড়ি করে অন্তত ঘুরে বেড়াতে পারছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy