প্রচারে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিজস্ব চিত্র
কয়েকবছর আগে শিবলিঙ্গের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পোস্ট’ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সেই সময়ে সায়নী অবশ্য দাবি করেছিলেন, তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করে ওই ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার সেই ছবি পোস্টের প্রসঙ্গ তুলেই আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী সায়নীর বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।
এ দিন দুর্গাপুরের গোপালমাঠে তাঁদের পারিবারিক শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে আসানসোলে প্রচার শুরু করেন অগ্নিমিত্রা। তার পরে তিনি বলেন, ‘‘শিবরাত্রির সময়ে, যখন আমরা সারারাত জেগে মহাদেবের পুজো করি, তখন তিনি (সায়নী) একটি খুবই নিম্নরুচির একটি পোস্ট করেছিলেন।’’ তবে সায়নী অগ্নিমিত্রাকে ‘ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র’ (টলিউড) জানিয়েও এ বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কিন্তু তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘বিজেপি প্রার্থী এ সব কথা বলে মেরুকরণের চেষ্টা করছেন। উনি নিজেরই রুচির
পরিচয় দিচ্ছেন।’’
এমন চাপান-উতোরের মধ্যেই অবশ্য শুক্রবার বার্নপুরের বিভিন্ন গ্রামে প্রচার চালান তৃণমূল প্রার্থী সায়নী। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে শোনেন নাগরিক-সমস্যার কথাও। তিনি বলেন, ‘‘দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশিত পথে চলেছি। এর বেশি কিছুই ভাবছি না এই মুহূর্তে।’’ এ দিকে, বৃহস্পতি ও শুক্রবার দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দু’টি বৈঠক করেন অগ্নিমিত্রা। বার্নপুরের বেসরকারি গ্যাস উত্তোলক একটি সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের ‘দুর্দশা’র কথাও শোনেন তিনি। তাঁর তোপ, ‘‘রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী আসানসোল শহরের বাসিন্দা। আর এখানেই শ্রমিকেরা ঠিক মতো কাজ ও বেতন পাচ্ছেন না।’’ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিদায়ী শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের।
এ দিকে, ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী প্রশান্তবাবুর প্রচারে উঠে এসেছে রাজ্যের ‘বেহাল অর্থনীতি’ ও ‘বেকারত্বে’র প্রসঙ্গ। শুক্রবার বার্নপুরের নানা জায়গায় প্রচার চালিয়ে প্রশান্তবাবু বলেন, ‘‘চাকরি দাবিতে নবান্ন অভিযান করেছিলেন ছাত্র-যুবরা। অথচ, সেখানে পুলিশের লাঠিতে যুব নেতার মৃত্যু হল। এর থেকেই রাজ্যের অবস্থা বোঝা যাচ্ছে।’’
এ সব প্রচারের মাঝেই আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যেই বন্ধ পড়ে থাকা বার্নপুরের বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানার প্রাক্তন শ্রমিকেরা জানান, তাঁরা এখনও কারখানা আবাসনেই থাকেন। অথচ আবাসনের জল-বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দল তাঁদের কথা শোনেনি। এই পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় কাউকেই প্রচার করতে দেওয়া হবে না বলে জানালেন সেখানের আবাসিকদের একাংশ। প্রত্যেক প্রার্থীই আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy