জখম বিজেপি কর্মী। নিজস্ব চিত্র।
নরেন্দ্র মোদীর সভায় আসার পথে আক্রান্ত বিজেপি-র কর্মীরা। বিজেপি-র অভিযোগ, কোচবিহারের সুকটাবাড়ির কাছে তাদের গাড়ি থামিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। বোমাবাজিও করে একদল দুষ্কৃতী। তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনীরই এই কাজ বলে দাবি বিজেপি-র। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, পুরোটাই বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর তার দায় তারা তৃণমূলের উপর চাপাতে চাইছে।
কোচবিহারের সুকটাবাড়িতে মঙ্গলবার দুষ্কৃতীদের বোমাবাজিতে বিজেপি-র বেশ কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক জখম হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। ওই এলাকার বিজেপি নেতা সুরজিৎ মোদক বলেন, ‘‘ফলিমারি ও চান্দামারি থেকে আমাদের প্রচুর সর্মথক গাড়ি করে আসছিলেন, সুকটাবাড়িতে পৌঁছতেই তৃণমূল সমর্থকরা গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেয়। গাড়িতে ভাঙচুর চালান। আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করার পাশাপাশি বোমাও ফাটায় ওরা।’’ মোদকের দাবি, ‘‘ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন। এলাকায় গণ্ডগোলের জন্য তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হওয়ায় কয়েকজনের প্রাণহানির আশঙ্কাও করছি আমরা।’’
মঙ্গলবার কোচবিহার শহরের রাসমেলা মাঠে ছিল প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। সভায় পৌঁছনোর পথে হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি বিজেপি-র। পরে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছায়। যদিও তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিজেপি-র অভিযোগ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, ‘‘ প্রচারের শেষ লগ্নে আমরা সকলেই ব্যস্ত কোচবিহার জেলায়। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা সেই সভা নিয়ে ব্যস্ত। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কোনও যোগ নেই। এটা বিজেপি-র নিজেদেরই গন্ডগোল। গোষ্ঠী কোন্দল। আর দোষ তারা তৃণমূলের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy