ঝাড়গ্রামে প্রচারে দেব। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
ভোটের আগে ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের রবিবাসরীয় প্রচার জমিয়ে দিলেন দলের অনুব্রত মণ্ডল ও অভিনেতা-সাংসদ দেব। চেনা ঢঙে অনুব্রত বললেন, ‘‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে।’’ দেবের অনুরোধ, ‘‘যদি মনে করেন দিদি কাজ করেছেন, তাহলে ভোটটা দিদির দলকেই দিন।’’
রবিরার দুপুরে গোপীবল্লভপুর বিধানসভার অন্তর্গত ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো ও দলীয় প্রার্থী খগেন্দ্রনাথ মাহাতোকে নিয়ে রোড-শো করেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত। বিকেলে গোপীবল্লভপুরের শাসড়া মাঠে নয়াগ্রাম বিধানসভার প্রার্থী দুলাল মুর্মুর সমর্থনে সভা করেন তিনি। বলেন, ‘‘দলের কর্মীরা শেষ কথা বলে, নেতা শেষ কথা বলে না। এই ভোট ভয়ঙ্কর ভোট। মমতাকে ভোট দিলে বাংলাটা বাঁচবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে বাংলায় অন্ধকার নেমে আসবে।’’ গোপীবল্লভপুরে স্টেডিয়ামের দরকারের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলবেন বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ভয়ঙ্কর মিথ্যাবাদী। দিল্লি থেকে যখন আসেন দু’পকেট ভরে মিথ্যা কথা নিয়ে আসেন। আর মমতা আঁচল ভরে উন্নয়ন নিয়ে আসেন।’’ গোপীবল্লভপুরে অনুব্রত মণ্ডলের জনসভায় ৭০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিজেপি পরিচালিত গোপীবল্লভপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রিতা সেনাপতির স্বামী নিত্যানন্দ সেনাপতিও আসেন।
দেব এ দিন ছিলেন ঝাড়গ্রাম শহরে। পুরাতন ঝাড়গ্রাম থেকে ১টা নাগাদ রোড শো শুরু করেন দেব। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের প্রার্থী বিরবাহা হাঁসদা। দেবকে দেখার জন্য রাস্তায় হুড়োহড়ি শুরু হয়। জামবনির পড়িহাটি থেকে এসেছিলেন রিতা ভৌমিক। দেবের দেখা পেয়ে নাচতে শুরু করেন তিনি। রাখি দাস নামে এক বৃদ্ধ আবার দেবের গাড়ির সামনেই নাচতে দেখা যায়। অনেকে ‘পাগলু ড্যান্স’ বলে চিৎকার করেন। কেউ কেউ বলেন ‘খেলা হবে’। গাড়ি থেকে দেদার অটোগ্রাফও দেন দেব। জামদা সার্কাস মাঠ পর্যন্ত সেই রোড শো হওয়ার কথা থাকলেও তা অবশ্য় হয়নি। দুপুর দু’টো নাগাদ গাড়ি থেকে নেমে শিলদার সভার উদ্দেশ্যে রওনা দেন দেব। এতে অনেকেই হতাশ হন।
যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথীর দাবি, ‘‘তৃণমূলের অবস্থা কীরকম তা ঝাড়গ্রামে ঢুকেই বুঝে গিয়েছেন দেব। তাই পুরো রাস্তা রোড শো না করেই চলে গিয়েছেন।’’ তৃণমূল প্রার্থী বিরবাহা হাঁসদার পাল্টা, ‘‘বিজেপির স্বভাবই হল অপপ্রচার করা। রোড-শোতে প্রচুর মানুষ ছিলেন। অনেকটা দেরিও হয়ে গিয়েছিল। শিলদাতেও সভা ছিল দেবের। তাই তিনি রোড শো শেষ না করে সেখানে রওনা হন।’’ শিলদার নীলকমল মাঠের সেই সভায় দেব বলেন, ‘‘যদি আপনাদের মনে হয় আমাদের দল, আমাদের নেত্রী আপনাদের হয়ে কাজ করেছেন এবং আগামী দিনে কাজ করবেন তাহলে আপনারা জানেন কাকে ভোটটা দিতে হবে। দেবনাথ হাঁসদাকে জিতিয়ে দিদির হাতটা শক্ত করুন।’’ তৃণমূলের ভাঙন প্রসঙ্গেও এ দিন মুখ খোলেন দেব। তাঁর কথায়, ‘‘অনেকেই ভাবছেন আমাদের দলের বড় বড় নেতারা চলে যাচ্ছেন বলে দল একটু কমজোর হয়ে যাচ্ছে। আমাদের নেতা (জনতার দিকে আঙুল দেখিয়ে) তো আপনারা। যাঁদের পাশে মানুষের ভালোবাসা আছে তাঁদের বড় বড় নেতা লাগে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy