গলসিতে বিজেপি কর্মীর দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
জেলা জুড়ে গোলমাল-সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা দিলেন নবনির্বাচিত বিধায়কেরা।
মন্তেশ্বরের নতুন তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মঙ্গলবার শান্তির বার্তার পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার পরামর্শ দিলেন। সমাজ মাধ্যমে ‘পোস্ট’ করে শান্তির আবেদন জানালেন আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার ও কালনার তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ।
মঙ্গলবার বিকেলে মন্তেশ্বর ও মেমারি ২ ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দলের সাতগেছিয়া নির্বাচনী কার্যালয়ে বৈঠক করেন সিদ্দিকুল্লা। পরে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দল বরাবরই শান্তিপ্রিয়। শান্তিতে আছি এবং থাকব।’’ তাঁর দাবি, ‘‘একতরফা কিছু হয়নি। বিজেপিও গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে।’’ তৃণমূল কর্মীদের বিজেপি হুমকি দিচ্ছে এবং ‘নব্য’ ও ‘আদি’ বিজেপি নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে গোলমাল পাকাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
দলীয় কর্মীদের কাছে কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়েরও বার্তা—বিরোধীদের উপরে হামলা হলে তা বরদাস্ত করা হবে না। এ দিন সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তাঁর দাবি, “কোনও কোনও জায়গায় হামলা হয়েছে বলে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। কর্মীদের কাছে আবেদন করেছি, কোনও প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না। বিরোধীদের উপরে হামলা হলে দল মেনে নেবে না।” শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কালনার বিধায়ক। তাঁর বার্তা, অশান্তি কোনও ভাবেই কাম্য নয়। কোথাও অশান্তির ঘটনা ঘটলে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সোমবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শান্তির বার্তা দেন অভেদানন্দবাবুও। তিনি লেখেন, ‘কোনও হিংসা নয়। বাংলাকে নতুন ভাবে গড়ার মানসিক শপথ নিন।’ এ দিন তিনি বলেন, “বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে যা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। প্রত্যেকে শান্তিতে থাকুন। কর্মীদের সংযত থাকতে বলেছি। এর পরেও কোথাও এই ধরনের ঘটনা ঘটলে পুলিশ প্রশাসনকে কড়া হাতে মোকাবিলা করতে বলেছি।”
বিধায়কের বার্তার পরেও আউশগ্রামে কয়েকটি জায়গা থেকে গোলমালের খবর এসেছে। বিজেপির অভিযোগ, এ দিন ভাল্কি পঞ্চায়েতের প্রেমগঞ্জ, রানিগঞ্জ, ভেদিয়ার পোগ্রাম, দেবশালার ধানতোড়, দিগনগরের তেলোতা ও মালিদাপাড়ার মতো এলাকায় দলীয় কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। দিগনগরে কয়েকজন বিজেপি কর্মীর দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুই টোটোচালককে স্ট্যান্ডে গাড়ি রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিজেপির আউশগ্রাম বিধানসভার আহ্বায়ক দেবব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘‘বিধায়ক লোক দেখানো বার্তা দিতে চেয়েছেন। তিনি যদি সত্যিই এই ধরনের ঘটনা আটকাতে চাইতেন, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় না বলে মাটিতে দাঁড়িয়ে কর্মীদের আটকাতেন।” বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি দেবব্রত রায়েরও অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণে তাঁরা আহত হয়েছেন। তৃণমূল কী ভাবে বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে, তা সকলেই দেখছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy