নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ। নিজস্ব চিত্র।
ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই যেন আরও বেশি বেশি করে আগ্নেয়াস্ত্র বোমার উপস্থিতি চোখে পড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে নীলপুরের সুকান্তপল্লীর একটি বাঁশবাগান থেকে ফলের বাক্সে রাখা ৩৬টি সুতলি বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনার জেরে এলাকায় যেমন আতঙ্ক ছড়িয়েছে তেমন শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক চাপানউতর।
বৃহস্পতিবার সকালে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে বর্ধমান পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাঁশবাগানের ঝোপে বোমাগুলি দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর যায় বর্ধমান থানায়। খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছে জায়গাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। অতিউত্সাহী মানুষদের দূরে রাখা হয়। খবর দেওয়া হয় সিআইডি বম স্কোয়াডে। বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাগুলি উদ্ধার করে দামোদরের চরে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটনানো হয়।
কোথা থেকে কারা এই বোমগুলি কী উদ্দেশে নিয়ে এসেছিল তার তদন্ত শুরু করছে বর্ধমান থানা। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চায়নি পুলিশের কেউ।
প্রশাসনের তরফে কোনও মন্তব্য পাওয়া না গেলেও রাজনৈতিক তরজা থেমে নেই। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, এই এলাকায় শাসকদলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। এলাকার মানুষ এখন বিজেপি-কে সমর্থন করে। তাই ভোটের আগে জমি ফিরে পেতে শাসকদল পরিকল্পিত ভাবে এই সব কাজ করছে।
বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, “গত লোকসভায় এই এলাকার মানুষ বিজেপি-কে সমর্থন করেছেন। তাই হয় তো পরিকল্পিত ভাবে বোমা রেখে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসাতে চাইছে তৃণমূল। কারণ এ ভাবে মজুতের কাজ বিজেপি কর্মীরা করেন না।”
যদিও তৃণমূলের তরফে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরূপ দে বলেন, “শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপিই। তারাই পরিকল্পিত ভাবে বোমা মজুত করছে। আমরা প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। এলাকার মানুষ আমাদের খবর দেন। পুলিশ গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখুন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy