প্রতীকী ছবি।
ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল হাওড়ার শিবপুর। শনিবার গভীর রাতে থানার সামনে ওই ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, দু’পক্ষই পুলিশের সামনে লাঠি এবং লোহার রড নিয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করে। রডের আঘাতে গুরুতর আহত হন দু’জন। মারামারির অভিযোগে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা দু’জনেই তৃণমূল কর্মী বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হাওড়া পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের শীল বস্তিতে মধ্য হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় সিংহের সমর্থনে ব্যানার ও ফ্লেক্স লাগাচ্ছিলেন দলীয় কর্মীরা। অভিযোগ, সে সময়ে তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী এসে ওই ব্যানার ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেয়। এমনকি, এ ব্যাপারে শিবপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে থানার ভিতরে ঢুকে ওই দুষ্কৃতীরা পুলিশের সামনেই লাঠি, রড দিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, মহম্মদ শামিম ওরফে বড়ে নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার নেতৃত্বেই এই আক্রমণ চলে। বিজেপির ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সে রাতেই পুলিশ ক্রান্তি ও পিন্টু নামে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। মূল অভিযুক্ত শামিম ঘটনার পর থেকে পলাতক।
রবিবার এ নিয়ে মধ্য হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘‘৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির কোনও ব্যানার লাগাতে দিচ্ছে না বড়ে নামে তৃণমূলের এক দুষ্কৃতী। উল্টে আমাদের কর্মীকে মারধর করেছে। বড়েকে গ্রেফতারের দাবিতে আমি শিবপুর থানার সামনে ধর্নায় বসব।’’
তবে তৃণমূলের তরফে ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের পাল্টাঅভিযোগ, বিজেপি সমর্থকেরাই রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের ব্যানার ছিঁড়ে দিচ্ছে। মধ্য হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ রায় বলেন, ‘‘বিজেপি-ই রাতের অন্ধকারে বহু জায়গায় তৃণমূলের ফ্লেক্স-ব্যানার ছিঁড়ে দিয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডও রয়েছে। আমি জেলা নির্বাচন কমিশনের দফতরে অভিযোগ দায়ের করছি। তৃণমূলের কেউ কোনও ব্যানার ছেঁড়েনি। মারধরও করেনি।’’
বিজেপি-র মধ্য হাওড়া মণ্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি সত্যেন্দ্র যাদবের দাবি, “আমাদের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের পার্টি অফিসে ব্যানার ও ফ্লেক্স রাখা ছিল। আমরা ওই জায়গার দলের নেতাদের বলেছিলাম ওগুলো রাতে লাগিয়ে দিতে। পরে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ খবর পাই, আমাদের কর্মীদের উপরে আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশের সামনেই মারধর করা হচ্ছে। যা শুনে রাতেই থানায় ছুটে যাই। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে।”
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, ওই রাতে বিজেপির কর্মীরা কয়েক জনের বাড়িতে গিয়ে পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বাধে। দু’পক্ষই শিবপুর থানায় গেলে পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। দু’পক্ষের তরফেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy