নিজের ভোট নিজে দেওয়ার জন্য মানুষকে সচেতন করার কাজ কী ভাবে এগোচ্ছে, মূলত সেটা দেখাই তাঁর কাজ। সচেতনতা পর্যবেক্ষক রাজীব জৈন কতটা তৈরি হয়ে সেই কাজে নেমেছেন, তার প্রমাণ পেল প্রশাসন।
বুধবার, দোলের দিন রানাঘাট ও কল্যাণী মহকুমা অফিসে এসে রাজীব ভোটকর্মী ও অফিসারদের কাজের খতিয়ান তো নিলেনই, নিজেও যে করণীয় সব কাজই সেরে এসেছেন, জানান দিলেন নেটাও। তাঁর ঝুলিতে কল্যাণীর বিষয়ে সবিস্তার তথ্য মজুত দেখে অবাক হয়ে যান নির্বাচনী আধিকারিকরা। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনকে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ করার পরামর্শ দেন তিনি। রানাঘাট থেকে কল্যাণী যাওয়ার পথে চাকদহ ব্লকেও যান পর্যবেক্ষক।
এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ রানাঘাটে মহকুমাশাসকের অফিসে পৌঁছন রাজীব। মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী এবং এই মহকুমার পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনে কোন বিধানসভা ক্ষেত্রে শতকরা কত মানুষ ভোট দিয়েছিলেন, তা জানতে চান। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোটদানের হার যাতে বাড়ে, তার জন্য নানা ভাবে প্রচার চালানোর নির্দেশ দেন। গ্রামাঞ্চলে কী ভাবে ভোটারদের সচেতন করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে সবিস্তার খোঁজখবর নেন।
কল্যাণী মহকুমার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিষয়ে প্রায় সব কিছু জেনেই এসেছিলেন পর্যবেক্ষক। ফলে যে-সব বুথে ভোটদানের হার খুব কম, সেগুলির বিষয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। ভোটদানের হার বাড়াতে সেখানে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও সচেতনতা কর্মশালা হয়েছে কি না, জানতে চান জানতে চান সবই। মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, প্রায় সব কলেজেই কর্মশালা করা হয়েছে। পর্যবেক্ষক নির্দেশ
দেন, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়েও কর্মশালা করতে হবে। মানুষের যাতায়াতের পথে ভোট দিতে আবেদন জানিয়ে আরও বেশি করে ফ্লেক্স, ব্যানার লাগাতে হবে। চাকদহে ব্লক প্রশাসন সচেতনতা কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এ দিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে রং খেলার আয়োজন করেছিল। সচেতনতা পর্যবেক্ষক সেই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy