মোবাইল ক্যামেরার আলোর রোশনাই থেকে ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলকানি। বিজেপির পদ্মের সঙ্গে মোর্চার খুখরি বা গ্রেটার কোচবিহারের লাল সূর্যের পতাকার ছড়াছড়ি।
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের গাড়ির দীর্ঘ লাইন থেকে মাঠের আনাচে কানাচে লোকের ভিড়। মিনিট খানেক আবার বাংলায় টানা কথা। এমন ভাবেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হ্যালোজনের আলোয় সাজানো শিলিগুড়ির বাগডোগরায় ‘উত্তরা’র মাঠে সভা করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরবঙ্গের একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে। কখনও বললেন তৃণমূলকে আতঙ্কবাদী বা দুর্নীতিবাজদের দল, কখনও বা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার কথাও। আবার কেরল আর পশ্চিমবঙ্গকে সামনে রেখে কংগ্রেস-সিপিএমের জোটকে কুস্তি, দোস্তির রাজনীতিও শোনালেন। সারদা থেকে নারদ, ভেঙে পড়া উড়ালপুল, বাদ রাখেন না কিছুই।
যা একের পর এক শুনে হাততালি পড়ল। মাঠজুড়ে মাঝেমাঝে আওয়াজ মোদীর নামের। কিন্তু উন্নয়ন, প্রকল্প, সরকারি দলের দুর্নীতির কথা বললেও সারদা বা নারদ নিয়ে কোনও তদন্তের কথা শোনালেন না মোদী। বরং তিনি টাকা লুঠ ঠেকাতে সরকারি প্রকল্পের কথা শুনিয়ে মন কাড়ার চেষ্টা করলেন। মোদীর দাবি, ‘‘আমরা গরিব মানুষের জন্য প্রকল্প এনেছি, জনধন প্রকল্প, মুদ্রা প্রকল্প, বাড়ি বাড়ি গ্যাস, আবাস সব হচ্ছে। আমাদের সরকার মানেই তো গরিবের সরকার।’’
নিজের ভঙ্গিতে মোদী প্রায় ৩৮ মিনিট ভাষণ দেন। তৃণমূলের সমালোচনা করলেও নারদ-কাণ্ড নিয়ে কোনও তদন্ত বা দোষীদের শাস্তির কথা না বলায় বিরোধীরা মোদি-মমতা আঁতাতের অভিযোগ টেনে এনেছেন। সভার পর শিলিগুড়ির জোট প্রার্থী অশোক ভট্টচার্য বলেছেন, ‘‘মুখে বড় বড় কথা হচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। সারদা, নারদ সবই তো সভায় শুনছি। দিদিভাই আর মোদিভাইয়ের খেলা চলছে।’’
এদিন মোদী সভা করেছেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রের বাগডোগরা এলাকায়। শিলিগুড়ি শহর থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার দূরে। উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মাঠে এনে ভিড় করান গ্রেটার কোচবিহার, মোর্চার সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের ভিড়। সভায় সিদ্ধার্থনাথ সিংহ এক দফায় উড়ালপুলের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সিপিএমের অশোকবাবুকে চ্যালেঞ্জও ছোঁড়েন। তেমনিই, নিজেদের দাবি আলাদা রাজ্যের কথা টেনে আরেক দফায় স্বপ্ন বা আশার কথা জানান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি থেকে কার্শিয়াঙের মোর্চা প্রার্থী রোহিত শর্মাও। চা বাগিচার উন্নয়ন নিয়ে সরব হন আদিবাসী নেতা জন বার্লাও। মোদীর কথায়, ‘‘তিনটি আন্তজার্তিক সীমান্ত রয়েছে শিলিগুড়িতে। এই এলাকার দ্রুত উন্নয়ন দরকার। কংগ্রেস, বাম আর এখন তৃণমূল কেউ কিছু করেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy