গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
‘উনিশে হাফ, একুশে সাফ’। নীলবাড়ির লড়াইয়ে বার বার এই স্লোগান শোনা গিয়েছে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে। তৃণমূলকে সাফ করা তো দূরের কথা, লোকসভাভিত্তিক ফলে ২০১৯-এর ‘হাফ’ হয়ে গেল দিলীপের দলই। গত লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৪২টা লোকসভা আসনের মধ্যে ২২টাতে জিতেছিল তৃণমূল এবং ১৮টায় বিজেপি (বাকি ২টোয় কংগ্রেস)। সদ্য প্রকাশিত বিধানসভা নির্বাচনের ফলে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি এ বার ৯টা লোকসভা আসনে তৃণমূলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে। ২০১৯-এর ঠিক অর্ধেক। আর তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ৩৩টা লোকসভা আসনে।
লোকসভা ভোটে তৃণমূল যে ২২টা আসনে জিতেছিল, তার মধ্যে ২০টাতে এগিয়ে আছে এ বারও। শুধু আরামবাগ আর কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল এ বার পিছিয়ে গিয়েছে বিজেপি-র থেকে।
অন্য দিকে, বিজেপি ২০১৯-এ জেতা ১৮টা লোকসভা আসনের মধ্যে ১১টাতেই এ বার তৃণমূলের পিছনে চলে গিয়েছে। এই আসনগুলো হল আসানসোল, বালুরঘাট, বাঁকুড়া, বর্ধমান-দুর্গাপুর, ব্যারাকপুর, বিষ্ণুপুর (বাঁকুড়া), হুগলি, ঝাড়গ্রাম, মালদহ উত্তর, মেদিনীপুর এবং রায়গঞ্জ।
লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়ি এবং পুরুলিয়া আসনে বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল বিজেপি। জলপাইগুড়িতে ব্যবধান ছিল ১ লক্ষ ৮৪ হাজারেরও বেশি। এ বার সেই ব্যবধান কমে এসেছে ৬ হাজার ৯৯৫-এ। পুরুলিয়ায় ব্যবধান ছিল ২ লক্ষাধিক। এ বার ব্যবধান নেমে এসেছে ১ হাজার ৭৯৪-এ। অন্য দিকে, তৃণমূল নিজের জেতা তমলুক আসনে এ বার এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান মাত্র ২১।
বিধানসভা ভোটের লোকসভাভিত্তিক ফলে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি ব্যবধান এ বার মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনে। এখানে তৃণমূল এগিয়ে সাড়ে ৫ লক্ষের বেশি ভোটে। মোট ১৬টা আসনে তৃণমূলের এগিয়ে থাকার ব্যবধান ২ লক্ষের বেশি। বিজেপি-র ক্ষেত্রে এত ব্যবধানে এগিয়ে থাকা মাত্র একটি কেন্দ্রেই। তৃণমূলের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা আসনগুলোর মধ্যে আছে বহরমপুর এবং জঙ্গিপুর। এই দুই লোকসভা কেন্দ্রের একটি করে বিধানসভা আসনে এখনও ভোট হয়নি প্রার্থীর মৃত্যুতে। সেই ভোটের ফল যাই হোক না কেন, তৃণমূলের পিছিয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বহরমপুর, জঙ্গিপুরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy