গৌতম দেবের নির্বাচনী ক্ষেত্র ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় তৃণমূলের কিছু কর্মী প্রচারে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলল সিপিএম। শনিবার রাতে ওই ঘটনা নিয়ে পুলিশে এফআইআরও করেছেন তাঁরা। রবিবার দলের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, ফুলবাড়ি ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার যুগিভিটাতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ওই রাতে প্রচার করছিলেন সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। সে সময় বাধা দেন তৃণমূলের লোকজন। তাঁরা বাড়িতে প্রচারে যেতে নিষেধ করে ধাক্কাধাক্কি করেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘অভিযোগ যথাযথ গুরুত্ব দিয়েই দেখা হবে।’’
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার তৃণমূলের প্রচার কমিটির দায়িত্বে থাকা নেতা দেবাশিস প্রমাণিক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরা কারও উপর হামলা চালিয়েছে, মারধর করেছে বলে জানা নেই।’’
পুলিশ কমিশনারের কথায় অবশ্য আশ্বস্ত হতে পারছেন না সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল আমাদের প্রচার করতে বাধা দিতে পারে না। আমরা এর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। তবে পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘নির্বাচন কমিশন পুলিশকে নির্দেশ দিলেও নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ি বা ভক্তিনগর থানা তা পালন করছে না।’’ এমনকী জীবেশবাবুর কথায়, অভিযোগ জানাতে গেলে কয়েক জন পুলিশ অফিসার প্রশ্ন করেন, কেন তাঁরা মিছিল করছেন। সিপিএম নেতৃত্বের তরফে ওই পুলিশ আধিকারিকদের জানানো হয় যে, তাঁরা এ ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন না। এর পর তাঁরা পিছু হঠেন।
সিপিএমের অভিযোগ, পুলিশ অফিসারদের একাংশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। তৃণমূল প্রার্থীদের সুবিধা করে দিতে বিরোধী দলের প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। তৃণমূলকে সমর্থন করতে ওই পুলিশ আধিকারিক বাসিন্দাদের বোঝাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। এ ধরনের অভিযোগ, বিধিভঙ্গের সামিল বলেই মনে করেন জীবেশবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘ওই অভিযোগে এসিপি স্তরের এক পুলিশ অফিসারকে সরানেোর দাবি তুলেছি আমরা। অবাধে নির্বাচন করতে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে আবেদন করছি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অবাধে নির্বাচন পরিচালনা করতে যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় রক্ষা হচ্ছে না। এমন হলে আমাদের বড় আন্দোলনে নামতে হবে।’’
প্রশাসনের তরফে যে ভূমিকা নেওয়া উচিত, তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী দিলীপ সিংহের। তিনি বলেন, ‘‘রাতে প্রচারে বাধা দেওয়া, হামলার ঘটনার পর থেকেই উদ্বেগে রয়েছি।’’ তাঁর কথায়, রাতেই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ রবিবার দুপুর পর্যন্ত তেমন কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy