আছেন নাকি?
জঙ্গিপুর থেকে নাকি প্রার্থী তুলে নিয়েছে সিপিএম। গোটা জেলা জুড়ে ছড়িয়ে যায় এ কথা। চিন্তায় পড়ে যান বিরোধীরাও। নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী তা হলে কে? উত্তরটা জানতে কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই শিবির থেকেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে ঘন ঘন ফোন আসতে থাকে। —“সোমনাথবাবু আছেন, নাকি গেছেন।” সিপিএম নেতারাও উত্তর দিতে দিতে জেরবার। খোদ ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সোমনাথ সিংহরায়ও বলছেন,“আমার কাছেও অনেকে ফোন করেছেন। এ সব গুজব ছড়াচ্ছে কংগ্রেস।”ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি হাসানুজ্জামান বাপ্পা বলেন,“ কংগ্রেস নয়, সিপিএমই এই গুজবের উৎস। তারাই একবার প্রার্থী দিচ্ছেন, এক বার বিবৃতি দিয়ে তুলে নিচ্ছেন। এর জন্যই যত বিভ্রান্তি।”
ছেলেকে ভোটট দেবেন
এক সময় নিজে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন। এ বার ছেলে সুস্মিতরঞ্জন হালদার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রানাঘাট মহকুমারশাসকের কার্যালয়ে গেলেন তিনিও। দিয়ে বেরিয়ে এসে বাবা সুচারুরঞ্জন বলেন, ‘‘সাংসদ থাকার সময় এলাকায় অনেক কাজ করেছি। এলাকার মানুষ তা জানেন। আশা করছি, সেই কথা মনে রেখে এ বার ছেলেকে ভোট দেবেন। তাকে ফিরিয়ে দেবে না। বিধানসভায় পাঠাবেন।’’
মদে কোপ
কল্যাণী: ভোট বাজারে এ বার প্রচুর বিলিতি মদ বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ ও সাধারণ প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে গড়া ফ্লাইং স্কোয়াড। গোপন সূ্ত্রে খবর পেয়ে হরিণঘাটার বিডিও এবং জাগুলি পুলিশ ফাঁড়ির আইসি-র নেতৃত্বে একটি দল শনিবার রাতে কল্যাণী থানার কপিলেশ্বরে এক ব্যাক্তির বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে দু’হাজার লিটার বিলিতি মদ লুকিয়ে রাখা ছিল। কল্যাণীর এসডিও স্বপন কুণ্ডু জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ হানা দিতেই বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়।
ফের হুঙ্কার হুমায়ুনের
রবিবার সকাল ৯টায় রেজিনগরের পাঁচকেটিয়া মোড় থেকে মিছিল করলেন নির্দল প্রার্থী। এ দিন তাঁর সঙ্গে অনেকেই ছিলেন, যাঁদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। প্রায় ৪০০ সমর্থক এ দিনের হুমায়ুনের সঙ্গে ছিলেন। হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘এই বিধানসভায় আমাদের হাত ধরেই তৃণমূল শক্ত হয়েছিল। ১৪ টা অঞ্চলের মানুষ ঠিক করে ফেলেছে তারা কাজে জেতাবে।তৃণমূলের নেতৃত্বের অনেকেই সেই কথা বুঝতে পেরেছে।তাই আমাদের পায়ে পা মেলাচ্ছে।’’ তৃণমূলের রেজিনগর বিধানসভার তৃণমূলের প্রার্থী ও জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকা বেগম বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলের প্রার্থী। নিদর্লের কোন দল নেই। দলের বাইরের মানুষ কে নিয়ে কোন কথা বলবো না।’’ দলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনের প্রতিক্রিয়া, অভিযোগ ভিত্তিহীন,২১ এপ্রিল সব জবাব দেবে মানুষ।
বড়ঞায় অধীর
হেলিকপ্টারে চেপে গোটা রাজ্যে ভোট প্রচার করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রবিবার তিনি মালদহ থেকে নিজের সামাজ্যে ফিরলেন হেলিকপ্টারে চেপেই। বহরমপুরে ফিরেই এ দিন জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। বলেন, ‘‘আজ, সোমবার বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জেলায় প্রচার শুরু করব।’’ ৫ এপ্রিল অধীরের উত্তরবঙ্গে প্রচারে যাওয়ার কথা। ওই দিন বিকেলেই তিনি ভরতপুর ও কান্দিতে সভা করবেন।
আসছেন পর্যবেক্ষক
মুর্শিদাবাদ জেলার ২২টি বিধানসভা আসনের জন্য ১৩ জন সাধারণ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক, হিসেব দেখভালের জন্য পাঁচ জন হিসেব পর্যবেক্ষক ও একজন পুলিশ পর্যবেক্ষকের আসার কথা রয়েছে। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও জানান, আজ, সোমবার ওই পর্যবেক্ষকরা জেলায় আসবেন।
আপনি প্রার্থী হলে
তাপসকুমার দে
বহরমপুরের শিল্পোদ্যোগী। বয়স ৫৪। ট্রান্সফর্মার তৈরির কারখানার মালিক। রাজ্যজুড়ে ট্রান্সফর্মার সরবরাহ করেন।
মূল প্রতিশ্রুতি: প্রত্যেককে সঠিক শিক্ষাব্যবস্থার
আওতায় আনা।
প্রধান সমস্যা: নেতা নির্বাচনে মানুষের ভুল পদক্ষেপ।
মাইক না অমাইক: প্রচারে মাইক মাস্ট।
প্রধান প্রতিপক্ষ: শাসক দল।
গৌরী সেন কে: শিল্পপতিরা তো আছেনই।
কোন প্রতীকে: উদীয়মান সূর্য
অরিন্দম সিংহরায়
বয়স ৩৯। দোগাছি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
মূল প্রতিশ্রুতি: দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। সেই সঙ্গে শিক্ষার প্রসার ঘটানো।
প্রধান সমস্যা: রাস্তাঘাট ও পানীয় জলের অভাব।
মাইক না অমাইক: মাইকের ব্যবহার এড়িয়েই চলতাম। বরং পাড়ায় পাড়ায় মিটিং করতাম। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচারই আমার পছন্দ।
প্রধান প্রতিপক্ষ: ভোটের পাখি। যাদের শুধু ভোটের সময় দেখা মেলে।
গৌরী সেন কে: নিজের টাকায় প্রচার করতাম। তবে কেউ স্বেচ্ছায় আর্থিক সাহায্য করলে নেব।
কোন প্রতীকে: খাতা ও কলম
এলেন পর্যবেক্ষক
কেন্দ্র: করিমপুর ও তেহট্ট
পর্যবেক্ষক: গয়া প্রসাদ
মোবাইল নম্বর: ৯০৮৩২৭৩১৭৫
কেন্দ্র: পলাশিপাড়া ও কালীগঞ্জ
পর্যবেক্ষক: এমএল কৌশিক
মোবাইল নম্বর: ৯০৮৩২৭৩১৭৬
কেন্দ্র: নবদ্বীপ ও কৃষ্ণনগর দক্ষিণ
পর্যবেক্ষক: বিনীত গর্গ
৯০৮৩২৭৩১৭৭
কেন্দ্র: কৃষ্ণনগর উত্তর ও কৃষ্ণগঞ্জ
পর্যবেক্ষক: কিরণ ভি
মোবাইল নম্বর: ৯০৮৩২৭৩১৭৮
কেন্দ্র: নাকাশিপাড়া ও চাপড়া
পর্যবেক্ষক: এএল জারহাদ
মোবাইল নম্বর: ৯০৮৩২৭৩১৮০
কেন্দ্র: শান্তিপুর ও রানাঘাট উত্তর পশ্চিম।
পর্যবেক্ষক: আর রামকৃষ্ণাণ
মোবাইল নম্বর: ৯০৮৩২৭৩১৭৯
কেন্দ্র: রানাঘাট উত্তর পূর্ব ও রানাঘাট দক্ষিণ
পর্যবেক্ষক: তেজিন্দর সিং ধালিওয়াল
মোবাইল নম্বর: ৯০৮৩২৭৩১৮১
কেন্দ্র: চাকদহ ও কল্যাণী
পর্যবেক্ষক: সুনীল মধুকর রাও কেন্দ্রেকর।
মোবাইল নম্বর: ৯০৮৩২৭৩১৮২
কেন্দ্র: হরিণঘাটা
পর্যবেক্ষক: অভিষেক দেব
মোবাইল নম্বর: ৯০৮৩২৭৩১৮৩
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy