Advertisement
E-Paper

জোট বিলম্বে অখুশি আব্বাস, খোলা রাখছেন মিমের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তা

বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান আবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে আব্বাসের দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোটের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তাঁকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলেও উল্লেখ করে দেন।

আব্বাস সিদ্দিকি, আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

আব্বাস সিদ্দিকি, আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:৫৪
Share
Save

বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বিধানসভা ভোটে লড়াই করতে চান আব্বাস সিদ্দিকি। কিন্তু আলাপ আলোচনা চালিয়েও এখনও জোটের জট খোলা যায়নি। তাই হাত গুটিয়ে বসে না দেখে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (এআইএমআইএম বা মিম)-এর সঙ্গে জোটের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় পার্ক সার্কাসের সাংবাদিক সম্মেলনে হায়দরাবাদের প্রাক্তন মেয়র তথা এআইএমআইএম-এর পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক মাজিদ হোসেন জোট সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘এখনও আমরা আব্বাস সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছি। ওয়াইসি সাহেবের সঙ্গে যখন তাঁর জোট সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হয়েছে, তখন যথা সময়ে তাঁরাই এ বিষয়ে প্রকাশ্যে জানিয়ে দেবেন।’’

গত ৩ জানুয়ারি হুগলির ফুরফরা শরিফে এসে মিম প্রধান আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বের ওপর তাঁর আস্থাজ্ঞাপন করে জোটের কথা ঘোষণা করে গিয়েছিলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। কিন্তু তার পরেই জোট নিয়ে আব্বাসের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতৃত্বের। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান আবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে আব্বাসের দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোটের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তাঁকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলেও উল্লেখ করে দেন। এর পর বেশ কয়েক বার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হলেও জোট চূড়ান্ত করা যায়নি।

সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক নেতা জানিয়েছেন, বামফ্রন্টের প্রত্যেক শরিক আইএসএফ-কে আসন ছাড়তে সম্মত হয়েছে। এ বার কংগ্রেস তাদের অবস্থান স্পষ্ট করলেই জোট চূড়ান্ত হয়ে যাবে। বামফ্রন্টের তরফে সিপিএম ১৭টি, সিপিআই ও আরএসপি ২ এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ৪টি আসন আইএসএফ-কে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু নিজেদের দাবি প্রসঙ্গে যে তালিকা কংগ্রেসকে দিয়েছে আইএসএফ, তা নিয়ে এখনও কোনও উত্তর পায়নি তারা। তাই থমকে গিয়েছে গোটা জোট প্রক্রিয়া।

এমতাবস্থায় বিকল্প লড়াইয়ের ব্যবস্থা যে রাখা হচ্ছে তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন আব্বাস। ২৩ ফেব্রুয়ারি ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলের জনসভা থেকেই সে কথা জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। আর মিমের সঙ্গে যে তাঁদের যোগাযোগ এখনও রয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন আইএসএফের চেয়ারম্যান নৌসাদ সিদ্দিকি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জোটের জট না খোলায় অপেক্ষার কৌশল নিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার পর্যন্ত পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে শনিবার সকালেই জোট সংক্রান্ত বিষয়ে ফুরফুরা শরিফেই সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন আব্বাস।

যদিও বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস আগেই জানিয়ে দিয়েছে, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের সঙ্গে জোট গড়লে আব্বাসের সঙ্গে তারা থাকবে না। কারণ মিম প্রকাশ্যেই কেবলমাত্র দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকারের কথা বলে। তাই দেশের কেবলমাত্র একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের হয়ে কথা বলা কোনও রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে জোট করতে নারাজ তারা।

Congress Left Front AIMIM Abbas Siddiqui

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}