২৮শে ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড।
রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। জোট-সঙ্গী বামেরা প্রখম দুই দফার জন্য নিজেদের প্রার্থী ঘোষণাও করে দিয়েছে। কিন্তু সংযুক্ত মোর্চার শরিক বামফ্রন্ট এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ), দু’পক্ষকেই অপেক্ষায় রেখে দিয়েছে কংগ্রেস। ফলে, জোটের পূর্ণাঙ্গ ছবি পরিষ্কার হচ্ছে না এখনও!
কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে শনিবার দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর উপস্থিতিতে বাংলায় প্রথম দু’দফার ভোটের জন্য ১৪টি আসনের তালিকা অনুমোদিত হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম দফায় ৬টি ও দ্বিতীয় দফায় ৮টি আসন রয়েছে কংগ্রেসের। ওই দু’দফার জন্য ১৩টি আসনের প্রার্থীদের নাম রাতেই ঘোষণা করে দিয়েছে এআইসিসি। কিন্তু গোটা রাজ্যের নিরিখে আসন-ভাগের ক্ষেত্রে বাম বা আইএসএফ, কারও সঙ্গেই সমঝোতার এখনও নিষ্পত্তি করতে পারেনি কংগ্রেস। জট কাটাতে আজ, রবিবার ফের বৈঠকে বসার কথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর। থাকার কথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম ও বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানেরও।
বাকি আসনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে এ দিনই প্রদেশ নির্বাচন কমিটির (পিইসি) বৈঠক ডাকা ছিল। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মুর্শিদাবাদে কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় সেই বৈঠক হয়নি। অন্য দিকে, এআইসিসি কাল, সোমবার দুপুরেই স্ক্রিনিং কমিটির বৈঠক ডেকেছে। তাই আজই অধীরবাবুকে কলকাতায় এসে প্রথমে বামেদের সঙ্গে ও পরে দলের পিইসি-র বৈঠক করতে হবে। তার পরে রাতেই তালিকা নিয়ে দিল্লি যাওয়ার কথা অধীরবাবু ও মান্নানের।
প্রথম দু’দফার ভোটের জন্য ১৩টি আসনের প্রার্থীর নাম হাইকম্যান্ডের অনুমোদন পেলেও আলাদা দাবি জুড়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। সূত্রের খবর, সনিয়ার উপস্থিতিতে এ দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জোর সওয়াল করেছেন, পুরুলিয়া জেলার জয়পুর আসন তাঁরা জিতে দেখাবেন! কিন্তু সেই আসনে শুক্রবারই বামেদের তরফে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, এই তথ্য উল্লেখ করেছেন বিরোধী দলনেতা। কংগ্রেস সভানেত্রীর অবস্থান, জোট পূর্ণ সমঝোতার ভিত্তিতেই হওয়া উচিত। কংগ্রেস সূত্রের ইঙ্গিত, এআইসিসি এখন ১৩ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও জয়পুরে কংগ্রেস প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিতে পারে। তখন ফ ব-ও নেপাল মাহাতোর বাঘমুণ্ডি আসনে পাল্টা প্রার্থী দিয়ে দিলে জোটের যাত্রা শুরুতেই ধাক্কা খাবে! কংগ্রেস নেতৃত্বেরও একাংশের বক্তব্য, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ বলে আসলে কিছু হয় না। তাতে জোটের বাতাবরণই নষ্ট হয়।
একই ভাবে আইএসএফ-কেও মালদহ বা মুর্শিদাবাদে আসন ছাড়ার ব্যাপারে কংগ্রেস কোনও সবুজ সঙ্কেত দেয়নি। ফলে, সিপিএমও আইএসএফের সঙ্গে আসন-রফার নিষ্পত্তি করতে পারেনি। এমতাবস্থায় এ দিন পেট্রল, ডিজ়েল, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কলকাতায় এন্টালি থেকে মহাজাতি সদন পর্যন্ত সংযুক্ত মোর্চার মিছিলে বিমানবাবু, সেলিম-সহ সব বাম শরিক দলের নেতা, কংগ্রেসের মান্নান, শুভঙ্কর সরকার, সন্তোষ পাঠকেরা থাকলেও আইএসএফের কোনও নেতাকে সেখানে দেখা যায়নি। আইএসএফ সূত্রে বলা হচ্ছে, উর্স উৎসবের জন্য ফুরফুরায় ব্যস্ত থাকায় কেউ আসতে পারেননি। যদিও দলের আইএসএফ সভাপতি শিমুল সরেনের মিছিলে থাকার কথা ছিল। জোট শিবিরের ধারণা, কংগ্রেসের মনোভাবে ‘ক্ষুব্ধ’ হয়েই আইএসএফ মিছিল এড়িয়ে গিয়েছে।
নিষ্পত্তির অপেক্ষায় কংগ্রেসকে দফায় দফায় তালিকা পাঠিয়েছে সিপিএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইকে সর্বাত্মক করতে চাই। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছি। আশা করছি, রবিবারের বৈঠকে জট কেটে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy