প্রথম দফার ভোটের জন্য থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যেতেই ধূপগুড়িতে শুরু হল রাজনৈতিক সংঘর্ষ। শনিবার রাতে ধূপগুড়ির গাদংয়ের কথাপাড়া গ্রামে সিপিএম ও তৃণমূলের বাড়ি বাড়ি প্রচারের সময় চলে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি। তাতে দুই দলের কয়েকজন করে অল্প বিস্তর জখম হয়। রাত বারোটা নাগাদ দুই দলই ধূপগুড়ি থানায় একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অনুমতি ছাড়া কথাপাড়া গ্রামে সিপিএম ও তৃণমূল দুই দলই সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করে। প্রচার থেকে স্লোগানের মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে শুরু হয় ঢিল ছোড়াছুড়ি। খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী ওই গ্রামে গিয়ে অবস্থা সামাল দেয়।
কথাপাড়া গ্রামের ঢিল খেয়ে জখম সিপিএম সমর্থক জীবন রায় বলেন, “রাতে আমরা কয়েকজন মিলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলীয় প্রার্থী মমতা রায়কে ভোট দেওয়ার কথা বলতে থাকি। আচমকা এলাকার তৃণমূল নেতা আব্দুর রউফের নেতৃত্বে কিছু তৃণমূল সমর্থক আমাদের গালিগালাজ দেওয়া শুরু করে প্রচার বন্ধ করতে বলে। আমরা প্রচার বন্ধ না করাতে ওরা পাথর দিয়ে আমাদের উপর শিলাবৃষ্টি শুরু করে। আমার পিঠে ঢিল লাগে। তা ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়।”
ঢিলের আঘাতে আহত ওই গ্রামের তৃণমূল সমর্থক জাকির হোসেন বলেন, “আমরা কয়েকজন মিলে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছিলাম। তখনই সিপিএমের হার্মাদবাহিনী উত্তেজিত স্লোগান দিতে দিতে আমাদের প্রচার নষ্ট করতে ঢিল ছুড়তে থাকে। তাতে আমিও জখম হই। কয়েক মিনিটের মধ্যে শ’খানেক হার্মাদবাহিনী জড়ো হতে থাকলে আমরা ওই এলাকা থেকে চলে যাই।”
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সম্পাদক গুড্ডু সিংহ বলেন, “সিপিএম হেরে যাওয়ার ভয়ে আমাদের প্রচার বন্ধ করার জন্য আক্রমণের রাস্তায় নেমেছে। শনিবারের রাতের ঘটনায় ৮ জন সিপিএম নেতা-সমর্থকের নামে ধূপগুড়ি থানায় হামলা ও মারপিটের অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
ধূপগুড়ির সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত মজুমদারের দাবি, “কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যেতেই স্বমহিমায় ফিরল তৃণমূল। শনিবার রাতে প্রচারের সময় আমাদের সমর্থকদের উপর তৃণমূলের গুন্ডাদের হামলায় কয়েকজন জখম হয়েছে। আমরা হামলার নিন্দা করে ১২ জন তৃণমূল কর্মি সমর্থকের নামে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”
ধূপগুড়ি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, “রাতেই গাদংয়ের কথাপাড়ায় রাজনৈতিক হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে প্রচার বন্ধ করে অবস্থা সামাল দেওয়া হয়। তবে, রাত এগারটার সময়ও ধূপগুড়ি হাসপাতালে গিয়ে কোনও দলের কাউকে জখম অবস্থায় দেখা যায়নি। দুই পক্ষই রাত বারোটা নাগাদ থানায় একে অন্যের বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিযোগ জমা দেয়। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy