Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

চোর ধরো, জেল ভরো প্রকল্পের কথা ঋতব্রতর

রাজ্যে চোরেদের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করে রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সিপিএম নেতৃত্ব। জোট সরকার ক্ষমতায় এলে সেই চোরেদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী।

বক্তব্য রাখছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।— নিজস্ব চিত্র

বক্তব্য রাখছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।— নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১১
Share: Save:

রাজ্যে চোরেদের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করে রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সিপিএম নেতৃত্ব। জোট সরকার ক্ষমতায় এলে সেই চোরেদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী। একই সভা থেকে এক সঙ্গে। রবিবার শিলিগুড়ির মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রের পতিরামজোতে একটি সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা সিপি জোশীও। দুপুর দু’টো থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত টানা সভা চলে। এলাকার মানুষ ধৈর্য ধরে সভায় বসেছিলেন।

এ দিন, আগাগোড়া তৃণমূলের দুর্নীতি ও অপশাসন নিয়ে আক্রমণাত্মক ছিলেন ঋতব্রত। তিনি নারদ ভিডিওতে উঠে আসা তৃণমূল নেতাদের ঘুষ নেওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান পরিবর্তন নিয়ে কটাক্ষ করেন। প্রথমে অস্বীকার, পরে দোষ স্বীকার ও শেষে বেগতিক দেখে জনতার মন পেতে নিজেদের মধ্যেই তদন্ত কমিটি তৈরিকে ঋতব্রত সার্কাস বলে দাবি করেন। ক্ষমতায় এলে রাজ্য জুড়ে চলা সিন্ডিকেট রাজ, তোলাবাজি, চুরি, ডাকাতির শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হয়ে জল ধরো জল ভরো প্রকল্প চালু করেছিলেন মমতা। আমরা ক্ষমতায় এলে চোর ধরো, জেল ভরো প্রকল্প চালু করব। প্রত্যেক চোরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।’’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীরবাবুও রাজ্য সরকারকে চোরেদের সরকার বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘‘চোরেদের সরকার মানুষ আর চায় না। এই সুযোগে সরকার বদলে ফেলতে হবে।’’ একই সুরে সুর মিলিয়ে পরে জোটের প্রার্থী শঙ্কর মালাকারও তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন এসজেডিএ, সিন্ডিকেট, তোলাবাজি বিষয়ে। তিনিও ঋতব্রতবাবুর বক্তব্যকে সমর্থন করে হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘জোট সরকার ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক চোর-ডাকাতদের জেলে না ভরলে সাধারণ মানুষ কাউকে ক্ষমা করবে না।’’

অধীরবাবু জানান, কেন্দ্রের বেশিরভাগ প্রকল্পের টাকা নিয়ে সেগুলিকে নাম বদলে নিজের প্রকল্প বলে চালিয়ে লোককে ভুল বুঝিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, তৃণমূল নেত্রী পাহাড়ের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করেছেন। সদিচ্ছা থাকলে নমশূদ্র, আদিবাসী, রাজবংশীদের জন্যও করতেন। ওঁরা কী দোষ করলেন? নকশালবাড়ির হাতিঘিষাতেও একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন অধীরবাবু।

অন্য বিষয়গুলি:

assembly election 2016
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy