ভোটপ্রচারে বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষাল। (ডান দিকে) চলছে দেওয়াল লিখনও। —নিজস্ব চিত্র।
প্রার্থীদের তালিকা ঘোষিত হয়নি। তবে ভোটপ্রচার শুরু করে দিলেন তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।
গেরুয়া শিবিরের হয়ে বিধানসভা ভোটের লড়াইতে কারা ময়দানে নামবেন, দু’এক দিনের মধ্যেই সে ঘোষণা করতে পারে বিজেপি। তবে তার আগেই দেওয়াল লিখন থেকে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ভোটপ্রচার— নিজেই শুরু করেছেন প্রবীর। যদিও প্রকাশ্যে বলছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের জন্য দু’দিন আগে থেকেই প্রচার শুরু হয়েছে। আর ভোটপ্রচার চলছে গত দু’বছর ধরে।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সদস্যপদ ছাড়ার দিনই প্রবীরের অফিসের সামনে তাঁকে ‘গদ্দার’ বলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। তবে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁকে ঘিরে উল্টো ছবি দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। প্রবীর বলেন, ‘‘বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর উত্তরপাড়ায় দলের কর্মীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি।’’ বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করলে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে, তা-ও জানিয়েছেন প্রবীর। তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে আমাকে প্রার্থী করলে লড়াই করব।’’ তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্যে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন এবং রাজ্যেও মোদী হবেন। আর বিজেপি তো তৃণমূলের মতো নয় যে মঞ্চ থেকে বলে দিল ‘এ প্রার্থী-ও প্রার্থী’। বিজেপি-র রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবেন, কে বা কারা প্রার্থী হবেন।’’
প্রবীরের এই কটাক্ষের জবাব দিতে ভোলেননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘বিজেপি সামাজিক ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। দলের মধ্যেও সেই বিশৃঙ্খলা চলছে। নতুন আর পুরনোদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। দলের মধ্যে নতুন করে জায়গা পাওয়া অথবা পুরনোদের জায়গা ধরে রাখা সবই চলছে। তাই তাঁদের উৎসাহ অনেক বেশি। আমাদের উৎসাহ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মানুষের কাছে পৌঁছনো। দলীয় প্রার্থীকে যাতে জয়যুক্ত করা হয়, সে আবেদন করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy