একই দিনে অল্প সময়ের ব্যবধানে আলিপুরে মনোনয়ন জমা দিলেন ভবানীপুরের দুই প্রার্থী— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দীপা দাশমুন্সি। শুক্রবার স্বাতী চক্রবর্তীর তোলা ছবি।
আসানসোলের সভা থেকে বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ভবানীপুরে গণতন্ত্র নেই। এতোটাই খারাপ অবস্থা যে বিজেপির প্রার্থীকে কেউ বাড়ি ভাড়া পর্যন্ত দিতে ভয় পাচ্ছেন! তার পর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি। শুক্রবার মনোনয়ন পেশের দিনের ছবিটাও জানান দিল, ফেয়ার প্লে-র আশা সেখানে কম!
আলিপুরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে বেলা ১টায় মনোনয়ন পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেড়টা নাগাদ মনোনয়ন পত্রে সই করেন তাঁর অন্যতম প্রতিপক্ষ দীপা দাশমুন্সি। মাত্র আধ ঘণ্টার হেরফেরে দু’টি ঘটনা। তাতে অনেক কিছু ঘটতে পারত। মাঠে নামার আগে দু’দলের ফুটবলার যেমন সৌজন্যের হাত মিলিয়ে নেন, তা-ও হতে পারত। কিন্তু হল উল্টোটা! সার্ভে বিল্ডিংয়ে ঢোকার মুখে তৃণমূল কর্মীদের থেকে বাধা পেলেন দীপা। উড়ে এল গালমন্দও। যা দেখে বন্দর আসনের কংগ্রেস প্রার্থী রাকেশ সিংহের অনুগামীরা তেড়ে গেলেন তৃণমূল সমর্থকদের দিকে।
মমতা-সহ হেভিওয়েট প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘিরে সার্ভে বিল্ডিং চত্বর এ দিন ছিল দুর্গ। ১২টার আগেই হাজরা মোড় থেকে গোপালনগরের দিকে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সার্ভে বিল্ডিং চত্বরের সামনেও ছিল পুলিশি ঘেরাটোপ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরনোর পরেই নিয়ন্ত্রণের বাঁধ ভাঙে। তৃণমূল কর্মীরা গার্ডরেল পেরিয়ে সার্ভে বিল্ডিংয়ের মুখে এসে স্লোগান দিতে থাকে। সার্ভে বিল্ডিংয়ের ১০০ মিটারের মধ্যে দলের কর্মীরা দলীয় পতাকা নিয়ে থাকতে পারবেন না বলে কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল। গোপালনগরের মোড় থেকে গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড করে রাখে পুলিশ। দলের সহ-সভাপতি মুকুল রায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীকে সঙ্গে নিয়ে বেলা ১টা নাগাদ মমতা সার্ভে বিল্ডিংয়ের তিন তলায় মনোনয়ন পেশ করেন। তিনি বেরনোর আধ ঘণ্টা পরে সেখানে যান দীপা। তাঁর সঙ্গী কংগ্রেস ও তিন বাম দলের প্রস্তাবক। কলকাতা বন্দরের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিমের সমর্থকেরাও গোপালনগর মোড়ে দাঁড়িয়ে। শুরু হয় গোলমাল। দীপা বলেন, ‘‘১০০ মিটার দূরে কর্মীদের থামিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তৃণমূল কী ভাবে ১০০ মিটারের পরেও এল, তা নিয়ে কমিশনে অভিযোগ করেছি।’’ ফিরহাদ বলেন, ‘‘আমি ঢুকে দেখি কংগ্রেস কর্মীরা পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে।’’
আরও পড়ুন:
ভবানীপুরে হারছেন ‘হিটলার’, জিতছেন ‘আগুনপাখি’: দীপা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy