এসএসকেএম-এ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। হাসপাতালে তৃণমূল কর্মীদের ভিড়। —নিজস্ব চিত্র
নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য জুড়ে। বুধবার চোট পাওয়ার পরেই গ্রিন করিডোর তৈরি করে মমতাকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। সেখানে তাঁকে দেখতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান গিতে থাকেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। দলনেত্রী আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই একাধিক জেলায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান দলী কর্মীরা।
বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের রানিচকে একটি হরিনাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান থেকে বেরনোর মুখে মমতা পড়ে যান। মমতার অভিযোগ, তাঁকে চার-পাঁচ জন ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এর পর গ্রিন করিডর করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতাকে হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক ভাবে ৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরপ নিগম-সহ স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তারা হাজির হন হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রীর জখম হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান রাজ্যপালও। কিন্তু ততক্ষণে দলনেত্রীর ভর্তি হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতাল চত্বরে হাজির হয়েছেন বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। তাঁরা রাজ্যপালকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাজভবন যাওয়ার সময়েও একই রকম ক্ষোভের মুখে পড়েন ধনখড়। মমতাকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিমও। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অভিযোগ করেন, ‘‘বিজেপি খুব নিচু স্তরে চলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনায় যাঁরা কটাক্ষ করছেন তাঁরা অসভ্য।’’ মমতার অভিযোগ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানিয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিতে পারেন।’’
বুধবার সন্ধ্যায় দলনেত্রীর আহত হওয়ার ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া জলপাইগুড়ি-সহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy