Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
surya kanta mishra

WB Election: ত্রিশঙ্কু হলেও তৃণমূলকে সমর্থন দেবে না বামেরা, সাফ জানালেন সূর্যকান্ত

সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিজেপি বা তৃণমূল কেউই যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তবে দুই দল মিলেই সরকার গড়তে পারে।’’

সূর্যকান্ত মিশ্র।

সূর্যকান্ত মিশ্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২১ ১৮:৩১
Share: Save:

নীলবাড়ির লড়াইয়ের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হলেও তৃণমূলকে সমর্থন দেবে না বামফ্রন্ট। সাফ জানিয়ে দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘মিট দি প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘আমরা বার বার বলেছি, ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিজেপি বা তৃণমূল কেউই যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তবে ওই দুই দল মিলেই সরকার গড়তে পারে। তাই মানুষের কাছে আমাদের আহ্বান তৃণমূল, বিজেপি দু’দলই যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেতে পায়। কারণ, বিজেপি ও তৃণমূল একই মুদ্রার দুই পিঠ। এখন এমন প্রশ্ন, কতকটা কল্পনাপ্রসূত। কিন্তু যদি এমন পরিস্থিতি আসে তা হলে আমরা দু’পক্ষের থেকেই দূরত্ব বজায় রাখব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী অনেক আগেই বলেছিলেন, তাঁর যুদ্ধ বিজেপি-র বিরুদ্ধে আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়। তৃণমূলের জন্মলগ্নে বিজেপি ও আরএসএস-এর অবদানের কথা সবাই জানেন। আর বিজেপি পরিচালিত হয় নাগপুরে আরএসএস-এর সদর দফতরের নির্দেশে। তাই এই দুই শক্তিকে একজোট হয়ে ৫০ শতাংশ আসনও জিততে দেওয়া যাবে না। তাই আমাদের লক্ষ্য এই শক্তিদের পরাস্ত করা।’’

প্রসঙ্গত, বুধবার একই প্রশ্নের উত্তরে কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মিট দি প্রেস অনুষ্ঠানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, ‘‘পলিটিক্স ইজ দি আর্ট অফ পসিবিলিটিজ।’’ সঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘এমনও হতে পারে সংযুক্ত মোর্চা যখন নবান্ন দখল করতে যাচ্ছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বাঁচার জন্য সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গী হল। বা সংযুক্ত মোর্চার কাছে আবেদন জানাল।’’ তার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তা হলে কি ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিজেপি-কে রুখতে সংযুক্ত মোর্চা ও তৃণমূলের মধ্যে সমঝোতা হতে পারে? দলের অবস্থান স্পষ্ট করে সূর্যকান্ত কিন্তু অধীরের মন্তব্যে সায় দেননি। বরং তাঁদের লড়াই যে বিজেপি-তৃণমূল দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE