ঐশী ঘোষ। ফাইল চিত্র।
প্রচারে নেমে পড়লেন জামুড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী ঐশী ঘোষ। বুধবার সিপিএম প্রার্থী হিসাবে যখন তাঁর নাম ঘোষণা হয় তিনি তখন দিল্লিতে। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে ফেরেন। শুক্রবার থেকেই এলাকায় ভোট প্রচারে নেমে পড়লেন ঐশী। আর প্রথম সুযোগেই রাজ্য এবং কেন্দ্রের শাসক দলকে এক আসনে বসিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন। দলের নীতি মেনেই বিলগ্নিকরণ বা পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে সরব হলেন তিনি।
কানহাইয়া কুমারের পর জেএনইউ-এর ছাত্র আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠেন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। তিনিই এ বার সিপিএমের ৪৪ বছরের গড় জামুড়িয়ায় প্রার্থী। যা ২০১১ এবং ২০১৬ সালে তৃণমূলের ঝড়েও অক্ষত ছিল। তবে জেতা আসনে দাঁড়িয়েও প্রচারে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন ঐশী। এ বার তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ানো কয়লা শ্রমিকদের প্রতিনিধি হরেরাম সিংহ।
শুক্রবার জামুড়িয়ায় পৌঁছে প্রথমে এলাকায় দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন ঐশী। সেখানে ছিলেন জামুড়িয়ার সিপিএম নেতা মনোজ দত্ত, তাপস কবি-সহ অন্য নেতারা। ঐশীকে জামুড়িয়ায় উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। শনিবার থেকে ভোট প্রচারে রাস্তায় নামছেন ঐশী।
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি নাম না করে আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে কটাক্ষ করেন। বলেন, “তারকা প্রার্থী নামিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে পারবে না তৃণমূল, বিজেপি কেউই। আর আজ যাঁরা মানুষের হয়ে কাজ করার কথা বলে তৃণমূল বা বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন, লকডাউনের সময় সেই সব তারকাদের দেখা মেলেনি। শুধু লকডাউন কেন, মানুষের হয়ে বিধানসভা থেকে রাজ্যসভা বা লোকসভা কোথাও এঁদের সরব হতে দেখা যায়নি।” কয়লা শিল্পের বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন ঐশী। এমনকি রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে বাইরে না যেতে হয়, তা নিয়েও সওয়াল করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy