প্রতীকী ছবি।
বঙ্গে তৃতীয় দফা ভোট শুরু হওয়ার আগের সন্ধ্যায় কমিশনের উপর চাপ বাড়াতে তৎপর হল বিজেপি। আজ দলের পক্ষ থেকে মুখতার আব্বাস নকভি, জি ভি এল নরসিংহ রাও-সহ কয়েক জন নেতা কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইন্ধনে আগামিকালের নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা হতে পারে। তাই কালকের নির্বাচনে যাতে প্রতিটি কেন্দ্রে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, হিংসা ছড়ানোর পরিবেশ তৈরি করছে বিজেপিই।
আজ বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগে জানানো হয়েছে যে, আগামিকাল ও পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে ব্যাপক পরিমাণে বুথ দখল, হিংসা, রিগিং, ভোটারদের বুথে যাওয়া আটকাতে বুথ ঘেরাও করতে পারে তৃণমূলের সমর্থকেরা। ভোটাররা যাতে বুথে না যেতে পারেন, সে জন্য তাঁদের পথে-ঘাটে হুমকি দেওয়া হতে পারে। কেন তাঁরা এমন আশঙ্কা করছেন? যুক্তি হিসেবে নকভিরা জানান, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণূলের শীর্ষ নেতারা ভোটারদের উস্কানি দিচ্ছেন, তাদের ঝামেলা করার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছেন। প্রমাণ হিসেবে কমিশনকে দেওয়া অভিযোগপত্রে মমতার জনসভার বক্তব্য তুলে ধরা হয়। বিজেপির দাবি, মমতা বলেছেন, সন্ধ্যা ছ’টার পরে বহিরাগতদের এলাকায় ঢুকতে দেবেন না। এলাকায় কেবল এলাকার লোকেরাই থাকবেন। বিজেপির দাবি, এখানে বহিরাগত বলতে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের এলাকা ছাড়া করার প্রশ্নে হিংসার পথ নেওয়ার জন্য সওয়াল করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তেমনই আধাসেনা প্রসঙ্গে সমর্থকদের উদ্দেশে মমতা বলেছিলেন, ‘‘ওঁরা তো দু’দিন ভয় দেখাবে.....দু’দিন ওদের কথা শুনে নাও।’’ বিজেপির অভিযোগ, এ কথা বলে আসলে বিজেপি সমর্থকদের ভয় দেখাতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। একই সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারে গত সপ্তাহে বিজেপি প্রার্থীর উপরে হওয়া হামলার বিষয়টি নিয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কালকের ভোটে ওই এলাকায় প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনের কাছে অনুরোধ করেন বিজেপি নেতারা। যদিও তৃণমূলের নেতারা পাল্টা দাবি করেন, বিজেপি নেতৃত্ব কমিশনের কাছে প্রতিটি বিষয়ে মিথ্যে অভিযোগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সর্বত্রই শান্তি রাখার আবেদন জানিয়েছেন। তা ছাড়া, বিজেপি নিজেরাই বহিরাগত এলাকায় ঢুকিয়ে অশান্তি বাধিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাতে সক্রিয়। তাই আগেভাগে কমিশনের কাছে নালিশ ঠুকে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে চাইছে তারা। কিন্তু বাংলার মানুষ বিজেপির এই ধাপ্পাবাজি ধরে ফেলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy